Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

কৃষকদের গুলি করে পদোন্নতি! পত্রবাণ রাহুলকে

কৃষক আন্দোলন শুধু মন্দসৌরে হয়নি, রক্তাক্ত পায়ে মাইলের পর মাইল পথ হেঁটেছিলেন মহারাষ্ট্রের চাষিরা।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ০১:৫৭
Share: Save:

মন্দসৌরের বিক্ষোভকারী চাষিদের উপর গুলি চালিয়েছিল শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকারের পুলিশ। রাহুল গাঁধী মন্দসৌরে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দোষী পুলিশ অফিসারদের শাস্তি হবে। কিন্তু শাস্তি তো দূর, কংগ্রেস সরকারের আমলে ওই পুলিশ অফিসারদের পদোন্নতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন নেতারা। ২১১টি কৃষক সংগঠনের ঐক্যমঞ্চ সর্বভারতীয় কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি আজ চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতিকে অভিযোগ জানিয়েছেন, চাষিদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশ অফিসারের পদোন্নতি হয়েছে। অথচ, রাহুল শুধু নন, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও জানিয়েছিলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কৃষক আন্দোলন শুধু মন্দসৌরে হয়নি, রক্তাক্ত পায়ে মাইলের পর মাইল পথ হেঁটেছিলেন মহারাষ্ট্রের চাষিরা। কিন্তু রাহুল-সহ বিরোধী দলের নেতারা লোকসভা ভোটে চাষিদের সমস্যা তুলে ধরতে পারেননি বলে কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ। কমিটির আহ্বায়ক ভি এম সিংহের কথায়, ‘‘চাষিরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে নিজেদের সমস্যা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু ভোট আসতে বিরোধী দলের নেতারা কেউ রাফাল নিয়ে সরব হয়েছেন, কেউ জোট করেছেন জাতপাতের সমীকরণ মেনে। কেউ আবার উগ্র হিন্দুত্বের মোকাবিলায় নরম হিন্দুত্বের রাজনীতি করেছেন। পুলওয়ামা-বালাকোটের পরে তো জাতীয়তাবাদ ছাড়া বাকি সব প্রসঙ্গ উধাও হয়ে গিয়েছিল।’’

দেশ জুড়ে খরা ও জলের সঙ্কটে চাষিদের ফের মাথায় হাত। এ নিয়ে বিরোধী নেতাদের দিকে আঙুল তোলার পাশাপাশি কৃষক সংগঠগুলি নিজেরা ফের আন্দোলনে নামারও পরিকল্পনা করেছে। কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ৩ অগস্ট সমস্ত জেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন হবে। কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে স্মারকলিপি জেলাশাসকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আন্দোলনের কারণ ব্যাখ্যায় কমিটির অন্যতম নেতা যোগেন্দ্র যাদব উল্লেখ করেন, সরকার পদক্ষেপ করছে না, অথচ তাদের হিসেবই বলছে, ২১ জুন পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি ৪২%। দেশের ৮৫% এলাকায় বর্ষার ঘাটতি রয়েছে। এত শুষ্ক জুন মাস অতীতে আসেনি। চাষিরা বীজ বুনতে পারছেন না। ধানের ক্ষেত্রে ৩২% কম বীজ বোনা হয়েছে। ডালের ক্ষেত্রে ঘাটতির হার ৪৯%, তেলবীজে ৫৩%। সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষায় না-থেকে এখনই খরা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Mandsaur Farmer Rahul Gandhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy