ভারত-পাক সীমান্তের উত্তেজনার রেশ এ বার ছড়িয়ে পড়ল সাইবার দুনিয়াতেও। নিয়ন্ত্রণরেখায় দু’দেশের সেনার লাগাতার গুলির লড়াইয়ের পাশাপাশি এ বার ইন্টারনেট-বোমার আশ্রয় নিয়েছে দু’দেশের হ্যাকারেরা। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ অব্যাহত ফেসবুক আর টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতেও।
বুধবার পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির ওয়েবাসাইট হ্যাক করে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা সরিয়ে ভারতের পতাকার ছবি লাগিয়ে দেয় ‘ইন্ডিয়ান হ্যাকারস অনলাইন স্কোয়াড’ নামে একটি সংগঠন। ওয়েবসাইটের পুরনো বয়ান সরিয়ে লেখা হয়েছে, “পাকিস্তানের নাগরিক, সেনা, পিপলস্ পার্টি এবং বিশেষত, বিলাবল ভুট্টো কোনও রক্তপাত ছাড়াই তোমাদের জানিয়ে দিচ্ছি যে পাকিস্তান কখনও কাশ্মীর পাবে না। এটাই সত্যি। স্বীকার করতেই হবে।” জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের উপর দোষ চাপানো বন্ধ করুক পড়শিরা। ‘কাশ্মীরের সূচাগ্র মেদিনী ভারতকে দেওয়া হবে না’ বলে গত মাসে মন্তব্য করেছিলেন বিলাবল। সে প্রসঙ্গ টেনে এনে কামান দাগতে ছাড়েননি হ্যাকারেরা।
এই সাইবার-তোপের পাল্টা জবাবও দিতে ছাড়েনি পাক হ্যাকাররা। আজ, প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট হ্যাক করার পর সেখানে পাকিস্তানের হ্যাকারেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বেশ কয়েকটি বিকৃত ছবি পোস্ট করে। তবে কাশ্মীর বা সীমান্ত-সংঘর্ষের পরিবর্তে ওই ওয়েবসাইটে পাক হ্যাকারদের বার্তা “আমরা আমাদের কথা পৌঁছে দিতেই এই কাজ করলাম। মুসলিম মানেই সন্ত্রাসবাদী নয়।”
এই ঘটনার পর ফের সক্রিয় হয় ভারতের হ্যাকারেরা। পাক সরকারের রেল মন্ত্রকের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ‘ইন্ডিয়ান হ্যাকারস অনলাইন স্কোয়াড’। দাবি করা হয়, বছরের পর বছর ধরে অন্যায় এবং ভারতের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জবাব দিতেই এই ‘আক্রমণ’। দ্বিতীয় বারেও হ্যাকারদের লক্ষ্য সেই বিলাবল। তাঁকে উদ্দেশ করে হ্যাকারদের হুঁশিয়ারি, “নিজের দেশ সামলাতে পারে না যে, সে আবার কাশ্মীর নিয়ে কথা বলছে!” প্রয়োজন পড়লে ওয়েবসাইটটি মুছে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে হ্যাকারেরা।
সীমান্তে গোলাগুলি ঠেকাতে ইতিমধ্যেই সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন মোদী। তার পর থেকেই টুইটারে শুরু হয়েছে হ্যাশট্যাগের ঝড়। পাকিস্তানের তরফে যেমন বলিউড থেকে মোদী বিরোধের হ্যাশট্যাগ তৈরি হয়েছে রাতারাতি, তেমনই পাক বিরোধিতায় কাশ্মীর ও সন্ত্রাসবাদকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন ভারতীয়রা। হ্যাকিং-পাল্টা হ্যাকিংয়ের স্কোরকার্ডও ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলেছেন টেক স্যাভিরা। #ভারত-২পাক-১ হ্যাশট্যাগে দেদার ‘শেয়ার’ হচ্ছে হ্যাক-বার্তা।
দু’দেশের এই সাইবার-যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আজ টুইটারে ফের কাশ্মীর-আবেগ উস্কে দিয়েছেন বিলাবল।
তাঁর টুইট, “আমার কথায় ভারত ভয় পেয়ে গিয়েছে। এটা তো সবে শুরু। কাশ্মীর পাকিস্তানের কাছেই আসবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy