সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ইতিমধ্যে ফাঁসি হয়ে গিয়েছে ভারতীয় তরুণী শাহজ়াদি খানের। সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রক আদালতে জানায়, সংযুক্ত আর আমিরশাহির আইন মেনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহজ়াদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
শাহজ়াদি কেমন রয়েছেন? তাঁকে কি ফাঁসি দেওয়া হয়ে গিয়েছে, না কি এখনও তিনি জীবিত? তা জানতে চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই তরুণীর বাবা সাবির খান। কেন্দ্রের থেকে এই বিষয়ে জানতে চেয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সোমবার ওই মামলা শুনানির জন্য ওঠে হাই কোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের বেঞ্চে। সেখানে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা জানান, আগামী ৫ মার্চ আবু ধাবিতে তরুণীর শেষকৃত্য হবে।
মৃত্যুর পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলি যাতে তরুণীর পরিবারের জন্য সহজতর করা যায়, সে বিষয়ে কেন্দ্র সবরকম সাহায্য করবে বলেও আদালতে জানায় কেন্দ্র। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, শাহজ়াদির ফাঁসির কথা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দূতাবাসকে সরকারি ভাবে জানায় সে দেশের প্রশাসন। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্যের পর ঘটনাটি ‘দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক’ বলে জানিয়ে মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন:
উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায় থাকতেন ওই মহিলা। তাঁকে ২০২১ সালে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আবু ধাবিতে এক দম্পতির চার মাসের সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব ছিল তাঁর। শিশুটির হঠাৎই মৃত্যু হয়। ওই দম্পতি শাহজাদির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন। এর পরে তদন্ত করে আবু ধাবি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে সেখানকার আদালত ওই শিশুর মৃত্যুতে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে শাহজ়াদিকে এবং ফাঁসির নির্দেশ দেয়। মাঝ ফেব্রুয়ারিতে আরব আমিরশাহির ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছিল, শাহজ়াদির ফাঁসির সাজার পরে ‘রিভিউ পিটিশন’ দাখিল করা হয়েছে।