Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Indian Railway

দ্রুত পণ্য পৌঁছতেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

অতিমারি পর্বের সময় থেকে রেলে পার্সেল বহনের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। রেল সূত্রের খবর, বিভিন্ন ই-কমার্স সংস্থাগুলির বাজার দেশে খুব দ্রুত বাড়ছে।

নতুন ট্রেনটিকে ‘পার্সেল ইএমইউ’ হিসাবে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন ট্রেনটিকে ‘পার্সেল ইএমইউ’ হিসাবে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫৩
Share: Save:

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধাঁচে পার্সেল পরিবহণের জন্য সেমি হাই-স্পিড ট্রেন চালু করতে চায় রেল। বিশেষ তাপমাত্রায় বা অতি দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে এমন পণ্য পরিবহণের বাজার ধরতে ওই পার্সেল ট্রেন চালু করার পথে হাঁটছে রেল।

ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে আধুনিক পরিকাঠামো-যুক্ত ওই পার্সেল ট্রেন তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। প্রথম ট্রেনটি নয়াদিল্লি থেকে মুম্বইয়ের মধ্যে চালানো হবে বলে রেল সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই ওই ধাঁচের আরও ট্রেন চালানোর সম্ভাব্য চাহিদার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে দেশের সব ক’টি জ়োনাল রেলওয়েকে চিঠি দিয়েছে রেল বোর্ড।

নতুন ট্রেনটিকে ‘পার্সেল ইএমইউ’ হিসাবে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ওই ট্রেন তৈরি করা হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধাঁচের প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ট্রেনটিতে স্বয়ংক্রিয় দরজা থাকবে। খুব কম তাপমাত্রায় বহন করতে হয়, এমন পণ্য পরিবহণের উপযোগী যাবতীয় ব্যবস্থাপনা থাকবে। এক একটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২৬৪ টন পর্যন্ত পার্সেল বহন করা যাবে বলে রেল সূত্রের খবর। দ্রুত পণ্য ওঠানো এবং নামানোর ব্যবস্থাও থাকবে প্রত্যেক কামরায়।

অতিমারি পর্বের সময় থেকে রেলে পার্সেল বহনের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। রেল সূত্রের খবর, বিভিন্ন ই-কমার্স সংস্থাগুলির বাজার দেশে খুব দ্রুত বাড়ছে। এখন সেই বাজারের আয়তন প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। দ্রুত পণ্য বহনের জন্য ই-কমার্স সংস্থাগুলি মূলত সড়কপথে নিজস্ব ভ্যান এবং কিছু ক্ষেত্রে উড়ানের সাহায্য নিচ্ছে। বেসরকারি ক্যুরিয়ার সংস্থাগুলিও পার্সেল পরিবহণের বাজার ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই অবস্থায় দ্রুতগামী ট্রেন তৈরি করে এক দিন বা তার কম সময়ে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে রেলের ঘরেও টাকা আসবে বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। বছর খানেক আগে গোয়া থেকে দিল্লি পর্যন্ত চকলেটের বিশেষ পার্সেল বয়ে নিয়ে গিয়েছিল রেল। সম্পূর্ণ খালি থ্রি-টিয়ার এবং টু-টিয়ার এসি রেকের বাতানুকূল ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে মোট ১৮টি কোচে ১৬৩ টন চকলেট বহন করা হয়েছিল। রেল সূত্রের খবর, ফল, আনাজ, ওষুধ, দুগ্ধ-জাত পণ্য-সহ আরও নানা ধরনের পণ্য রয়েছে যা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

ওই সব পণ্য পরিবহণের সম্ভাব্য ক্ষেত্র খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রেলের বিভিন্ন জ়োনগুলিকে। যাতে দিল্লি-মুম্বইয়ের পরে দেশের অন্যান্য রুটেও ওই ট্রেন চালানো সম্ভব হয়। রেল কর্তারা আশাবাদী, ওই ট্রেন চালু করা গেলে সড়ক এবং উড়ান মারফত নিয়ে যাওয়া হয় এমন পণ্যের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে আনা সম্ভব হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Railway Parcel Vande Bharat Express
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy