প্রতীকী ছবি। ছবি সংগৃহীত।
নৌবহরে নতুন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করল দেশের নৌসেনা। রবিবার মুম্বইয়ের মাজাগন বন্দরে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইএনএস মার্মাগাঁওকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত এবং নৌবাহিনীর প্রধান আর হরি কুমার।
আইএনএস মার্মাগাঁও-এর উদ্বোধন করে রাজনাথ জানান, শুধু বর্তমানের জন্যই নয়, ভবিষ্যতের লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখেই এই যুদ্ধজাহাজকে বানানো হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই রণতরী প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই রণতরী ভারতকে গর্বিত করবে।” একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ভবিষ্যতে গোটা বিশ্বের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করবে ভারত।
নৌবাহিনীর প্রধান তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, নৌসেনায় আইএনএস মার্মাগাঁও-এর অন্তর্ভুক্তি সেনার শক্তিকে আরও বাড়াল। এই ঘটনাকে সেনার ইতিহাসে ‘মাইলস্টোন’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, দেশের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাত এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা একাধিপত্যের আবহে মার্মাগাঁও-এর অন্তর্ভুক্তিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
৭ হাজার ৪০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজের নাম গোয়ার ঐতিহাসিক বন্দর শহর মার্মাগাঁওয়ের নামে রাখা হয়েছে। এই রণতরীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, রেডার বা অন্য কোনও পদ্ধতিতে এই যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি ধরা পড়বে না। তবে বিশেষ ‘স্টেলথ’ প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতিপক্ষের জাহাজের গতিবিধি দেখা যাবে। যার ফলে শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালাতে এই ধরনের যুদ্ধজাহাজ দক্ষ। এই রণতরীতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র রয়েছে। যেমন ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৯০ কিমি থেকে ৪৫০ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে। এ ছাড়াও এই যুদ্ধজাহাজে রয়েছে ৭০ কিমি মাঝারি পাল্লার ‘সার্ফেস টু এয়ার’ (স্থলভাগ থেকে আকাশসীমা) ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা, টর্পেডো, রকেট লঞ্চার ও নানা ধরনের অস্ত্র। জাহাজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রেডার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy