অভিযোগ মিলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। শেষ পর্যন্ত উপকূলরক্ষা বাহিনীর তৎপরতায় তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী রামেশ্বরমে খোঁজ মিলল ‘সি কিউকাম্বার’ বা সমুদ্রশসা পাচারচক্রের! উদ্ধার হল প্রায় ২০০ কেজি সমুদ্রশসা!
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মান্ডাপম এলাকায় একটি জলযানে হানা দিয়ে পাঁচটি ড্রাম বোঝাই সমুদ্রশসা উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি! মান্নার সন্নিহিত সংরক্ষিত অঞ্চল ‘মেরিন ন্যাশনাল পার্ক’ থেকে বেআইনি ভাবে ওই ‘সি কিউকাম্বার’গুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। মান্নার এলাকা দীর্ঘ দিন ধরেই সমুদ্রশসা চোরাচালানের অন্যতম কেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
নামের সঙ্গে ‘শসা’ জুড়ে থাকলেও ‘সি কিউকাম্বার’ আদতে সমুদ্রবাসী অমেরুদণ্ডী প্রাণী। ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মাঝে মান্নার এবং মান্ডাপম এলাকায় বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে মূলত একাইনোডার্মাটা শ্রেণির এই জীব পাওয়া যায়। সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এই প্রাণীগুলির গুরুত্বপূর্ণ আবদান রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই সামুদ্রিক শশার বিপুল চাহিদা। জানা গিয়েছে, যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ, ক্যানসারের চিকিৎসা, তেল, ক্রিম এবং প্রসাধনী সামগ্রী বানাতে এই সামুদ্রিক জীবকে ব্যবহার করা হয়। ওষুধ ছাড়াও চিন-সহ দিক্ষণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে সমুদ্রশসা দামি রেসিপির উপাদান।