কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি: পিটিআই।
দরজায় কড়া নাড়ছে কর্নাটকের ভোট। বাজেট বক্তৃতায় আজ অন্য কোনও রাজ্যের নাম না থাকলেও জায়গা পেয়েছে শুধু দক্ষিণের এই রাজ্যটি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের অঙ্গে শোভা পেয়েছে ওই রাজ্যেরই মেরুন রঙের ‘ইলকাল সিল্ক’ শাড়ি। তাতে ছিল হাতে বোনা পদ্ম, ময়ূর আর রথের ছবি।
শাড়ি যথেষ্ট রঙিন হলেও, তাঁর বাজেট বক্তৃতার সময়ে অবশ্য অন্যান্য বারের মতো কোনও বড় মাপে চাঞ্চল্য দেখা যায়নি। বরং প্রায় গোটা সময়টাই ছিল পিন পতনের নৈঃশব্দ্য। শুধু মাঝেমধ্যেই কংগ্রেস বেঞ্চ থেকে তেড়েফুঁড়ে উঠছিলেন লোকসভায় দলের নেতা অধীর চৌধুরী। পেট্রল-ডিজেলের দাম নিয়েই ছিল তাঁর বিক্ষোভ। বাজেট বক্তৃতা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরে সংসদে প্রবেশ করেন রাহুল গান্ধী। ‘জোড়ো জোড়ো ভারত জোড়ো’ স্লোগানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদরা ওই ধ্বনি দিতে দিতে তাঁকে লোকসভায় নিয়ে যান।
গত কয়েক বারের মতোই আইপ্যাডে বক্তৃতাটি পড়েছেন নির্মলা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিটে বক্তৃতা শেষ করবেন। সময় লেগেছে তার থেকে মিনিট পাঁচেক বেশি। পড়ার সময়ে অবশ্য গ্লাসের পর গ্লাস জল খেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গতবার বক্তৃতার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। এ বারে কিছুটা সংক্ষিপ্তই রেখেছেন তিনি বক্তৃতা, যেখানে চিরাচরিত রেওয়াজ অনুযায়ী কোনও কবিতা, উদ্ধৃতি বা শ্লোকের ব্যবহার ছিল না। তবে একবারই মাত্র ‘পুরনো দূষণকারী (পলিউটিং) বাহন’ পরিবর্তনের প্রসঙ্গে মুখ ফস্কে ‘পুরনো রাজনৈতিক (পলিটিকাল) বাহন’ বদলের কথা বলে অধিবেশন কক্ষে হাসির রোল ফেলেন নির্মলা। প্রশ্ন উঠছে, এটি কি ফ্রয়েডীয় ভ্রমের শ্রেণিতে পড়ছে! আসলে কংগ্রেসকেই (প্রাচীন রাজনৈতিক বাহন) মুছে দেওয়ার কথা মনে মনে ভাবছিলেন নাকি অর্থমন্ত্রী?
বক্তৃতায় যেমন অসংখ্যবার প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করেছেন নির্মলা, তেমনই বিজেপি-র বেঞ্চ বার বার ফেটে পড়েছে মোদী নাম-ধ্বনিতে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও মহার্ঘ শাল পরে বার বার বাঁ হাতে টেবিল চাপড়ে গিয়েছেন কিছুক্ষণ পর পরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy