—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকায় ফের জঙ্গি তৎপরতা বাড়াতে সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তান। ফলে ওই অঞ্চলে অর্থাৎ পীরপঞ্জাল পর্বতশ্রেণির দু’দিকেই জঙ্গি মোকাবিলায় ‘অপারেশন সর্বশক্তি’ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল সেনা।
রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। ২১ ডিসেম্বর ডেরা কি গলি এলাকায় জঙ্গি হামলায় নিহত হন চার সেনা। তার পরেই ওই এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টার সময়ে সীমান্তের জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনা।সেনার নর্দার্ন কমান্ডের এক কর্তার মতে, ‘‘পীরপঞ্জাল পর্বতমালার দু’দিকে যৌথ অভিযান চালাবে শ্রীনগরের চিনার কোর ও নাগরোটার হোয়াইট নাইট কোর। সেনা ছাড়াও ওই সেক্টরে সক্রিয় রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।’’
সেনা কর্তারা জানাচ্ছেন, ২০০৩ সালে ওই এলাকায় ‘অপারেশন সর্পবিনাশ’ নামে অভিযান চালিয়েছিল সেনা। তবে বিশেষ সাফল্য পাওয়া যায়নি বলে মত সেনারই একাংশের। রাজৌরি-পুঞ্চে ফের জঙ্গি তৎপরতা বাড়ার ফলে ওই এলাকায় ‘সর্বশক্তি’-র মতো অভিযানের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে ধারণা সেনার।
সেনা সূত্রে খবর, রাজৌরি-পুঞ্চে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করেছে সেনা। এই অভিযানের উপরে নজর রাখছে সেনার সদর দফতর ও নর্দার্ন কমান্ড। নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
২১ ডিসেম্বরের হামলার পরে ওই অঞ্চল থেকে কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দাকে জেরার জন্য আটক করে সেনা। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের সেনা হেফাজতে মারধরের ফলে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। সেনা সূত্রের দাবি, এ ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের অফিসার-জওয়ানদের বিরুদ্ধে তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাহিনী। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেনার উপরে ভরসা বেড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy