Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Malabar Naval Exercise

বৈঠক সেরেই মালাবার নৌ-মহড়ায় কোয়াড

আলোচনায় বার বার উঠে এল চিনের মরিয়া অর্থনৈতিক এবং রণনৈতিক আগ্রাসনের কথা। এর পরে আর কালক্ষেপ না করে আগামী মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমে ভারতের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে এই চারটি দেশের দশ দিনের নৌসেনা-মহড়া। যার পোশাকি নাম ‘মালাবার নৌ-মহড়া’।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:২৬
Share: Save:

এক পক্ষকাল আগে আমেরিকার ডেলাওয়ারে ‘ভৌগোলিক অখণ্ডতা’ রক্ষা এবং ‘সম্প্রসারণবাদের’ বিরুদ্ধে কৌশল খুঁজতে মহাবৈঠক করলেন চতুর্দেশীয় অক্ষ (ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া) ‘কোয়াড’-এর শীর্ষ নেতারা। আলোচনায় বার বার উঠে এল চিনের মরিয়া অর্থনৈতিক এবং রণনৈতিক আগ্রাসনের কথা। এর পরে আর কালক্ষেপ না করে আগামী মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমে ভারতের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে এই চারটি দেশের দশ দিনের নৌসেনা-মহড়া। যার পোশাকি নাম ‘মালাবার নৌ-মহড়া’।

ভারতায় নৌসেনার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রথমে বিশাখাপত্তনমের উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে শুরু করে এই মহড়া পৌঁছবে সমুদ্র পর্বে। সাবমেরিনের সঙ্গে যুদ্ধ, সমুদ্রপৃষ্ঠে লড়াই, এয়ার ডিফেন্স এক্সারসাইজ়ের মতো বিভিন্ন জটিল নৌ-অভিযান পরিচালিত হবে এই দশ দিনে। গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, মাল্টি-পারপাস ফ্রিগেট, সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার-সহ ভারতীয় নৌসেনার বিভিন্ন সরঞ্জাম অংশ নেবে এই মহড়ায়।

মালাবার মহড়া যখন শুরু হয়, সেই ১৯৯২ সালে বিষয়টি ছিল নেহাতই দ্বিপাক্ষিক একটি সামরিক বিনিময় মাত্র। তাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রপথের তাৎপর্য সে ভাবে সংযোজিত হয়নি। পরবর্তী সময়ে সমুদ্রপথে চিনের একাধিপত্য যতই বেড়েছে, এক দিকে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি এবং অন্য দিকে ভারত আমেরিকা এবং জাপান ততই জোটবদ্ধ হয়েছে। এর পরে অস্ট্রেলিয়াও এই অক্ষে যোগ দিয়েছে। ফলে কোয়াড এবং মালাবার এসে মিলেছে একই মঞ্চে। অন্য দিকে চিন এবং রাশিয়ার বক্তব্য, মালাবার কার্যত কোয়াডেরই সামরিক রূপ। আমেরিকা তার সহযোগী দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্রপথে নিজেদের কৌশলগত ঘাঁটি তৈরি করতে চায়।

প্রসঙ্গত, চিন সম্পর্কে গত কয়েক বছর ধরেই নরমে-গরমে বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে ভারতকে। গত বছর অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত একটি বড় মাপের সামরিক মহড়ায় (চিন-বিরোধী) আমন্ত্রিত হয়েও যোগ দেয়নি ভারত। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বড় মাপের সেই সামরিক মহড়াতে যোগ না দিলেও তার এক সপ্তাহের মধ্যেই মালাবার নৌ-মহড়ায় যোগ দিয়েছিল ভারত।

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মালাবার মহড়া নিয়ে চিন বার বার রক্তচক্ষু দেখিয়েছে, নিশ্চিত ভাবে এ বারেও দেখাবে। সূত্রের মতে, ভারত মালাবার থেকে কখনওই সরে দাঁড়াচ্ছে না তার কারণ, চিনের উপরে একটি নিয়ন্ত্রিত চাপ ধরে রাখতে চাওয়া হচ্ছে। কোয়াডের যৌথ বিবৃতিতে তাই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র-আইন সংক্রান্ত সনদে যা প্রতিফলিত হয়েছে, আমাদের সমর্থন বিশেষ করে তার প্রতিই। পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। দক্ষিণ চিন সাগরে একতরফা ভাবে সেনা জমায়েত নিয়ে আমরা আশঙ্কায়।’

অন্য বিষয়গুলি:

Malabar Exercise India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy