‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)’ জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। ছবি: সংগৃহীত।
ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপরেশন’ (ওআইসি) জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। গত কাল রাতে পাক বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওআইসি সংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, গত সপ্তাহে মক্কার সম্মেলনের পর সৌদি আরবের এক প্রবীণ রাজনীতিককে এই দায়িত্বে বহাল করা হয়েছে।
আজ বিকেলে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়ে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমারের কথায়, ‘‘আমরা সর্বতো ভাবে ওআইসি-র এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের এই হস্তক্ষেপ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ।’’ পাশাপাশি, বলা হয়েছে, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা থেকে যেন বিরত হয় ওআইসি।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ৫৭টি মুসলমান রাষ্ট্রের সংগঠন ওআইসি-কে দিয়ে এই কাজটি করিয়েছে পাকিস্তানের ইমরান খানের সরকার। কিন্তু ভারতের সঙ্গে কিছু দিন আগেই অযাচিত ভাল ব্যবহার করার পরে সৌদি আরবের মতো রাষ্ট্রও যে পাক ইন্ধনে সাড়া দেবে এটা সাউথ ব্লকের হিসেবের বাইরে ছিল। গোটা বিষয়টিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে নয়াদিল্লি। ওআইসি-তে চলতি বছরেই প্রথম ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে ডাক পায় ভারত। প্রতিবাদে সম্মেলন বয়কট করে পাকিস্তান। তখন বিষয়টিকে কূটনৈতিক জয় হিসেবে তুলে ধরতে পিছপা হয়নি নয়াদিল্লি। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আবু ধাবির সম্মেলনে বক্তৃতাও দেন। কিন্তু তার পরে অবশ্য পুরনো সুরে কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে সরব হয় ওআইসি। দেশে তীব্র সমালোচনা হয় মোদী সরকারের। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সম্মেলনে বলা এক জিনিস, আর কাশ্মীর নিয়ে বিশেষ দূত নিয়োগ করে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানো অন্য। কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের স্পর্শকাতরতার দিকটি মাথায় রেখেই এই চাল চালা হয়েছে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।
(ভ্রম সংশোধন: এই সংবাদটি প্রথম বার পরিবেশনের সময় এতে ভুল ছবি দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া, ওআইসি-র পুরো নাম ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপরেশন’-এর পরিবর্তে ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ’ ছিল। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy