ছবি রয়টার্স।
কথা ছিল ‘খোলা মনে’ কথা বলবেন বন্দি ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কমান্ডার। বাস্তবে দেখা গেল তাঁকে চাপে রাখতে হাজির পাকিস্তানি অফিসারেরা। ক্যামেরায় রেকর্ড করা হচ্ছে সব কথাবার্তা। ফলে প্রতিবাদ জানিয়ে চলে এলেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা। পাকিস্তানে চরবৃত্তি ও সন্ত্রাস ছড়ানোয় মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে এ দিনের সাক্ষাৎকারের এমনই বর্ণনা দিয়েছে দিল্লি। তাদের বক্তব্য, এ থেকেই প্রমাণ হয় পাকিস্তান কুলভূষণ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায় কার্যকর করতে রাজি নয়। কুলভূষণের পরিবারকে সাক্ষাৎকারের কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণ যাদবকে ২০১৬ সালের মার্চে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র-এর হয়ে বেলুচিস্তানে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। পরে পাক সামরিক আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ভারত পাল্টা দাবি করে, কুলভূষণকে ইরান থেকে অপহরণ করেছে পাক বাহিনী। তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এর পরে কুলভূষণ মামলায় দ্য হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থহয় ভারত। গত জুলাইয়ে আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেয়। স্থগিত রাখে মৃত্যুদণ্ড। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরে কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে না দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেনশন ভেঙেছে বলেও রায়ে জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক আদালত। কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের পুনর্বিবেচনার জন্য অধ্যাদেশ এনে আইন পরিবর্তন করে পাকিস্তান। সেই আইন অনুযায়ী, ২০ জুলাইয়ের মধ্যে পাকিস্তানের হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি পেশ করার কথা। ভারতীয় কূটনীতিক বা কুলভূষণের আত্মীয়েরাও এই আর্জি জানাতে পারবেন। গত সপ্তাহে পাক অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেন, কুলভূষণ পুনর্বিবেচনার আর্জি না জানিয়ে কেবল প্রাণভিক্ষার আর্জিতেই আস্থা রাখতে চান। ভারত দাবি করে, কুলভূষণকে চাপ দিয়ে আইনি অধিকার কাড়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান ইসলামাবাদে নিযুক্ত দুই ভারতীয় কূটনীতিক। ঘণ্টা দুয়েক কথা বলেন তাঁরা। পাক বিদেশ মন্ত্রক দাবি করে, ‘খোলাখুলি’ ভাবে কুলভূষণের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়েছে কূটনীতিকদের।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানায়, কুলভূষণের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে পাক অফিসারদের উপস্থিতি ও সাক্ষাতের রেকর্ডিং করা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিল ভারত। কারণ একমাত্র তখনই কুলভূষণ খোলা মনে কথা বলতে পারবেন। কিন্তু এ দিন পাক অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন। ক্যামেরায় সাক্ষাৎকার রেকর্ডও করা হচ্ছিল। তিনি যে খোলা মনে কথা বলতে পারবেন না তা বুঝিয়ে দেন কুলভূষণ। ফলে তাঁর আইনি অধিকারের কথা বন্দি কমান্ডারকে জানানো যায়নি। প্রতিবাদ জানিয়ে চলে আসেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা। দিল্লির দাবি, এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালতের রায় কার্যকর করতে রাজি নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy