রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে শাহবাজ শরিফ এবং মিজিতো ভিনিটো। ছবি টুইটার থেকে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৭তম সাধারণ সভায় কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্যের নিন্দা করল ভারত। পাক প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবারের বক্তৃতার জবাবে (রাইট টু রিপ্লাই) রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিটো বলেন, ‘‘দুঃখজনক ভাবে পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য এই অধিবেশনের মঞ্চ বেছে নিয়েছেন। তিনি তাঁর নিজের দেশের অপকর্মকে ঢাকতে এবং ভারত-বিরোধী শক্তিকে মদতের পাক নীতিকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এই কাজ করেছেন।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে তিনি সুর চড়াবেন বলে ধারণা ছিল। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ রাষ্ট্রপুঞ্জ সাধারণ পরিষদে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় যে ভাষায় সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করতে চেয়েছেন রাষ্ট্রনেতার পক্ষে কোনও ভাবেই শোভন নয় বলে মনে করছে কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এ ধরনের মন্তব্য সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার বার্তা বলে অভিযোগ করেন ভিনিটো। অভিযোগ করেন, ‘‘পাকিস্তানের অন্দরে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছে। তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন অভিযোগ পরিহাসের বিষয়।’’
পাশাপাশি, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি ২৬/১১ সন্ত্রাসের চক্রান্ত এবং দাউদ ইব্রাহিমের প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে দুষে তিনি বলেন, ‘‘একটি দেশ, যে দাবি করে যে তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি চায়, কখনওই সীমান্ত সন্ত্রাসে মদত দেবে না, কিংবা ভয়াবহ মুম্বই হামলায় পরিকল্পনাকারীদের আশ্রয় দেবে না।’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে শাহবাজ অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সেখানকার জনবিন্যাসের চরিত্র বদলের চেষ্টা চলছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে হিন্দুগরিষ্ঠ কাশ্মীরে পরিণত করতে চাইছে ভারত।’’ পাশাপাশি তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘২০১৯-এর অগস্টের অবৈধ পদক্ষেপ প্রত্যাহার করে শান্তি এবং আলোচনার রাস্তায় ফেরা উচিত ভারতের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy