প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।
বছর ছ’য়েক আগের একটি দিন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের স্মৃতির মণিকোঠায় উজ্জ্বল আজও। সে দিনই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁর। জয়শঙ্করের কথায়, ‘‘সঙ্কটের পরিস্থিতিতে মোদীজির নেতৃত্বদানের ক্ষমতা মুগ্ধ করেছিল আমাকে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিতে গিয়ে নিউ ইয়র্কে বৃহস্পতিবার মোদীকে নিয়ে লেখা একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানেই ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মোদীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ-পর্বের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। সে সময় জয়শঙ্কর ভারতের বিদেশ সচিব পদে ছিলেন। আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ শহরে ভারতীয় কনস্যুলেটে জঙ্গি হামলার ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে।
সে সময় মাজার-ই-শরিফে ভারতীয় কনস্যুলেটে তিন তলা ভবনের একাংশ দখল করে নিয়েছিল কয়েক জন ফিদায়েঁ জঙ্গি। রাতভর চলেছিল গুলি-গ্রেনেডের লড়াই। প্রাথমিক ভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল দূতাবাস কর্মীদের একাংশকে পণবন্দি করে ফেলেছে জঙ্গিরা। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণা করে বিদেশমন্ত্রী জানান, সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে মোদী কতটা দক্ষ, সে দিনই তিনি তার আঁচ পেয়েছিলেন।
জয়শঙ্কর জানান, ভারতীয় কনস্যুলেটে ভবনে জঙ্গিদমন অভিযান শেষ হলে তাঁকে ফোনে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আমি তখন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, ‘আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। আমি আপনার দফতরে ফোন করে জানিয়ে দেব’। তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, ‘না, আপনি আমাকেই ফোন করে জানাবেন’।’’
ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘পরিবর্তনের পণ্য’ বলেও বর্ণনা করেছেন জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর (মোদী) মতো এক জন ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে ভারতে কতটা পরিবর্তন ঘটেছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে চাকরি থেকে অবসরের পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। ২০১৯-এর মে মাসে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy