India-Pakistan Conflict: Few facts about ejection from fighter jet dgtl
iaf
যুদ্ধবিমান থেকে ইজেক্ট করেছিলেন অভিনন্দন, এতে কতটা প্রাণের ঝুঁকি জানলে চমকে উঠবেন
নিজের মিগ ২১ আক্রান্ত হওয়ায় একেবারে শেষ মুহূর্তে বিমান থেকে ইজেক্ট করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে নামেন অভিনন্দন বর্তমান।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ১২:২২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
নিজের মিগ ২১ আক্রান্ত হওয়ায় একেবারে শেষ মুহূর্তে বিমান থেকে ইজেক্ট করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে নামেন অভিনন্দন বর্তমান। সেই সময় পাক সেনার হাতে ধরা পড়ার আগে তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দেশের সম্মান ও জরুরি নথির গোপনীয়তা বজায় রাখা। এই ‘ইজেক্ট’ করার অর্থ জানেন?
০২১২
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ইজেক্ট করতে হয় বিমানচালকদের। সিটের নীচে থাকা রকেটের মতো অংশে আগুন ধরলে চালক ককপিটের বাইরে বেরিয়ে যান, যাকে বলা হয় ব্লো আপ। এর ফলে কাঁধ ও কলারবোনে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা মারাত্মক। (প্রতীকী ছবি)
০৩১২
অফিসারের পিঠে প্যারাশুট তো থাকেই, সিটের সাইডে থাকে লিভার, যেটি ফায়ার চার্জ করে, ফলে পিছনে থাকা রকেট বুস্টার সিট-সহ যুদ্ধবিবমানের বাইরে বেরিয়ে আসে। মাথায় প্যারাশুটের ক্যানোপি-সহ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমান থেকে শূন্যে ভাসতে শুরু করেন বিমানচালক। (প্রতীকী ছবি)
০৪১২
শূন্যে ভাসার সময়ে প্রথমে সিট খুলে পড়ে যায় নিজে থেকেই। ওই অবস্থায় ভাসতে ভাসতেই আরও একটু নীচে নামেন চালক। ১৪ হাজার ফুটের উপরে অবশ্য প্যারাশুটের কাজ করতে সমস্যা হয়। একটা দড়ির মতো অংশ টেনে ক্যানোপিটা বের করতে হয়। তবে এতে শিরদাঁড়ায় চোট লাগার আশঙ্কা থাকে। (প্রতীকী ছবি)
০৫১২
সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিমানচালক ও অস্ট্রেলীয় বাহিনীর চিকিৎসক নিউম্যান বলেন, এটি ‘এসকেপ মেকানিজম অব লাস্ট রিসর্ট’। আধুনিকতম ইজেকশন সিটে একটি ইজেকশন গান থাকে। স্রেফ সিটের হ্যান্ডেল তুলেই এটি সক্রিয় করা যায়। সিট-সহ চালক বিমানের বাইরে বেরিয়ে আসেন।
০৬১২
সিটের নীচে রকেটের মতো একটা যন্ত্র থাকে। এর মধ্যে সলিড রকেটের জ্বালানি থাকে। মাত্র ০.২ সেকেন্ড জ্বলে এটি। এই রকেটের আগুনে বাতাসে প্রায় ১০০ ফুটের মতো উড়ে যায় সিটটি।
০৭১২
মোটামুটি ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় কাজ শুরু করে প্যারাশুট। চেয়ারের হাতল টানা থেকে প্যারাশুট খোলা পর্যন্ত সময় লাগে মাত্র তিন সেকেন্ড
০৮১২
উচ্চতা যদি ২০-৩০ হাজার ফুট হয়, তা হলে প্যারাশুট তখনই নাও খুলতে পারেন চালক। ওই উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাব যেন না হয়, সে জন্য সিটের নীচে থাকে ছোট অক্সিজেন বোতল। (প্রতীকী ছবি)
০৯১২
প্যারাশুট নিজে থেকেই বেরিয়ে এলেই সিটটা পড়ে যায়। আরও শক্তপোক্তভাবে মাটিতে পা রাখতে পারেন চালক। কম ক্ষত নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাটিতে নেমে পড়ার ব্যবস্থা করার জন্য এটি। (প্রতীকী ছবি )
১০১২
বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও সংঘর্ষের কারণে মাঝ আকাশে বহুবার দুর্ঘটনা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অভিনন্দনের ঠান্ডা মাথাই প্যারাশুট নিয়ে সেফ ল্যান্ডিং করার অন্যতম কারণ বলে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
১১১২
সিট ইজেক্ট করার সময় সে ক্ষেত্রে অভিকর্ষীয় বল সাধারণের তুলনায় প্রায় ১৪ থেকে ১৬ গুণ বেশি হয়। গতি থাকে মারাত্মক। প্যারাশুট বিস্ফোরণের সম্ভাবনাও থাকে। শরীরে বড় চোটের সম্ভাবনাও থাকে। (প্রতীকী ছবি)
১২১২
কাঁধে চোট পাওয়ার সম্ভাবনাই থাকে বেশি। কারণ ইজেক্টের সময় মাথা ঠেকে যেতে পারে বুকের মধ্যে। মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেটও থাকে, যার ওজন প্রায় ৭ কিলোগ্রাম। মহাকর্ষীয় বল মারাত্মক হওয়ায় গতি আরও বেড়ে যায়। ফলে মাথা উপর-নীচ হতে থাকে বারবার। এর ফলে পা ভাঙার সম্ভাবনাও থাকে।