ছবি এএফপি।
রাত ১২টায় কখনও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের, কখনও বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা প্রকাশিত হচ্ছে। কখনও সেই নির্দেশিকায় থাকছে পরের দিন থেকে মুদিখানা, আনাজ ও ওষুধের দোকান ছাড়াও অন্য দোকান খোলার নির্দেশ। কখনও আবার করোনা-সঙ্কটের স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে নির্দেশিকাও মধ্যরাত নাগাদ প্রকাশিত হচ্ছে।
রাত কাবার হওয়ার অপেক্ষা। সাতসকালেই আবার সেই নির্দেশিকায় হচ্ছে রদবদল। মধ্যরাতে সব দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়ার পরে বলা হচ্ছে, ‘গ্রিন জ়োন’ ছাড়া দোকান খুলবে না। কখনও অনলাইনে সব রকম জিনিসপত্র কেনাবেচার ছাড় দেওয়ার পরেও তা আবার তুলে নেওয়া হচ্ছে।
বিরোধীদের প্রশ্ন, মোদী সরকার কি পরিকল্পনার অভাবে ভুগছে? মধ্যরাত পর্যন্ত ভাবনাচিন্তা করে যে নির্দেশিকা জারি হচ্ছে, তা পর দিন সকালেই বদলাতে হচ্ছে কেন?
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের মন্তব্য, “মনে হচ্ছে, সরকার ব্যান্ড-এড হাতে ঘুরছে। যেখানে যখন সমস্যা হচ্ছে, একটা ব্যান্ড-এড লাগিয়ে ক্ষত ঢাকা দিতে চাইছে।”
আরও পড়ুন: ভিন্নরাজ্য থেকে বাসে শ্রমিকদের ফেরাতে আপত্তি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন ২৪ এপ্রিল রাত ৮টায়। সে দিন রাত ১২টা থেকেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। তখনও প্রশ্ন উঠেছিল, কোনও প্রস্তুতি ছাড়া, আমজনতাকে কোনও প্রস্তুতির সময় না দিয়েই কেন লকডাউন ঘোষণা হল? আতঙ্কিত হয়ে সকলে বাজারে ছুটেছিলেন। ফিরে এসেছিল নোট-বাতিলের স্মৃতি। এ বার ৩ মে লকডাউন ওঠার কথা। এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের দিক থেকে জানানো হয়নি যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে না ধাপে ধাপে উঠবে! কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “আর তো তিন দিন বাকি। কিন্তু কোনও পরিকল্পনা নেই। দেশের মানুষ জানতে চান, ৩ মে-র পরের পরিকল্পনা কী?”
আরও পড়ুন: বিশ্বে কাজ যাবে অর্ধেকের! আশঙ্কা বাড়ছে ভারতেও
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব বলেন, “৪ মে থেকে যে নতুন ব্যবস্থা চালু হবে, তার নির্দেশিকা যথাসময়ে জারি করা হবে।” লকডাউনের পরে গরিব মানুষকে সুরাহা দিতে মোদী সরকার গরিব কল্যাণ প্যাকেজের ঘোষণা করেছিল। তার পরে ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য সুরাহা নিয়ে ভাবনাচিন্তা হচ্ছে বলে শোনা গেলেও তার দেখা মেলেনি। মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ৩ মে লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্যাকেজ ঘোষণা হতে পারে।
বিরোধীদের প্রশ্ন, প্যাকেজ ঘোষণা করতে হলে তা নিয়ে টালবাহানা কেন? জয়রাম বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকরা কী করে কাজ ফিরে পাবেন?” কেন্দ্রীয় সরকার আচমকা রাজ্যগুলিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে করে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে বলার যৌক্তিকতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই প্রশ্ন হল— কেন্দ্র কেন এই দায়িত্ব নিচ্ছে না? সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির প্রশ্ন, “রাজ্যগুলিকে অবাস্তব নির্দেশ দিয়ে দায় সারছে কেন্দ্র। এই সমন্বয়ের কাজটুকুও কি মোদী সরকার করতে পারে না?”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy