প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
চিনের সঙ্গে সমুদ্রযুদ্ধে আপাতত কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে চলেছেন মলদ্বীপের নতুন নেতৃত্ব। সে দেশের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু স্পষ্টতই চিনপন্থী। যিনি জেতার পরে হুমকি দিয়েছেন তাঁর দেশ থেকে বিদেশি সামরিক প্রতিনিধিদের হটিয়ে দেবেন বলে।
চিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতার এই অবস্থানে কপালে ভাঁজ পড়েছে নয়াদিল্লির। তার কারণ, মলদ্বীপে শুধু যে ভারতীয় সেনা রয়েছে তা-ই নয়, রয়েছে ভারতের নৌবাহিনীর অস্থায়ী পরিষেবা ঘাঁটিও। আজ এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের সঙ্গে মলদ্বীপের সহযোগিতার ভিত্তি হল বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং অগ্রাধিকারকে যৌথ ভাবে মোকাবিলা করা। মানবিক সহায়তা, জনকল্যাণ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা এবং সমুদ্রপথে বেআইনি গতিবিধি রোখার ক্ষেত্রে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান এবং মঞ্চ সাজিয়েছি মলদ্বীপের জন্য।”
এর পরে পরিসংখ্যান দিয়ে মলদ্বীপকে ভারত মনে করাতে চেয়েছে, গত পাঁচ বছরে ৫২৩ জন মলদ্বীপবাসীর প্রাণ বাঁচিয়েছে নয়াদিল্লি। সে দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা যাতে অটুট থাকে, সে জন্য এই পাঁচ বছরে সাড়ে চারশোরও বেশি বহুমুখী মিশন ভারত করেছে। কোভিড-সহ সমস্ত রকম বিপর্যয়ে ভারতই যে প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, এ কথাও আজ বাগচী বলেছেন।
কিন্তু বেজিংয়ের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এ মলদ্বীপের নতুন নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই প্রকল্পটিকে নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে নিজেদের উষ্মা প্রকাশ করে আসছে নয়াদিল্লি। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “এই প্রকল্পটি আমাদের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা— কোনওটাই মান্য করে না। আমরা ২০১৭ সালের মে মাসে প্রথম এ কথা বলেছিলাম, যখন চিন এই প্রকল্পের ঘোষণা করে। ভারতের সেই অবস্থান আজও একই রয়েছে।”
ভারতের চিন্তার কারণ, মুইজ্জুর দলের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই ছিল ভারতকে সরানো। তার পিছনে চিনের প্ররোচনা ছিল প্রকাশ্য। মুইজ্জুর পথপ্রদর্শক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়েমিন ক্ষমতাসীন থাকার সময় মলদ্বীপে চিন পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy