চাবাহার সমুদ্রবন্দর, যার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা রেলপ্রকল্পের। -ফাইল ছবি।
চাবাহার রেল প্রকল্প থেকে যে সরছে না ভারত, এ কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওযা হয়েছে। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব একটি বিবৃতি দিয়ে জানালেন, এই সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে, তা সত্য নয়। ওই প্রকল্পের আর্থিক এবং কারিগরি দিকটি চূড়ান্ত করার জন্য ইরানের সরকারি ভাবে কোনও সংস্থাকে মনোনীত করার কথা। সেটা এখনও করা হয়নি। ভারত সে জন্য অপেক্ষা করছে।
কয়েক দিন ধরেই চাবাহার-জাবেদিন রেল প্রকল্পটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তেহরান সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারত বিলম্ব করায় তারা নিজেরাই প্রকল্পটিতে অর্থ জোগাচ্ছে। আজ নয়াদিল্লিতে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। অনুরাগ জানিয়েছেন, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত রেল প্রকল্পটি খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রায়্ত্ত্ব রেল সংস্থা ইরকন-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ইরানের রেলের সংস্থা সিডিটিআইসি-র সঙ্গে তাদের যৌথ ভাবে কাজ করার কথা। ইরকন-এর পক্ষ থেকে প্রকল্পটির স্থান পরিদর্শন, উপযোগিতা বিষয়ক মূল্যায়নের কাজ হয়ে গিয়েছে। প্রকল্পটির অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দিক নিয়ে সে দেশের সঙ্গে বিশদে আলোচনাও হয়েছে। ইরান বর্তমানে যে আর্থিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে, তা নিয়েও কথা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে তেহরানে ভারত-ইরান যৌথ কমিশনের বৈঠকে গোটা বিষয়টির বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়। ওই প্রকল্পের আর্থিক এবং কারিগরি দিক চূড়ান্ত করার জন্য ইরানের সরকারি ভাবে কোনও সংস্থাকে মনোনীত করার কথা। সেটা এখনও ঝুলে রয়েছে।
পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর থেকে ৭২ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত চাবাহার ভারতের জন্য বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইরান এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার ফলে পাকিস্তানকে এড়িয়ে মধ্য এশিয়ায় নিজস্ব পণ্য রফতানির জন্যই প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পে শামিল হয়েছিল ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy