সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শাস্তি থেকে বাঁচতে গণতন্ত্রকে রক্ষাকবচ করতে সক্রিয় হয়েছেন তিনি। পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মহম্মদ সঈদের ‘সমর্থিত’ দল ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ’ (পিএমএমএল) লড়তে নেমেছে সে দেশের আসন্ন পার্লামেন্ট এবং প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি (প্রাদেশিক আইনসভা)-র নির্বাচনে। এই আবহে ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী হাফিজকে বিচারের জন্য চেয়ে পাকিস্তানকে ‘বার্তা’ পাঠাল ভারত।
সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেড় দশক পরে এই প্রথম বার হাফিজকে বিচারের জন্য ভারতে পাঠানোর দাবি জানিয়ে ইসলামাবাদকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে পাঠানো হয়েছে ওই বার্তা। সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের অভিযোগে পাক আদালত ১১ বছরের জেলের সাজা দিলেও হাফিজ এখন কোথায়, তা স্পষ্ট নয়। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত কোনও চুক্তি না থাকায় ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’কে হাতে পাওয়া ভারতের পক্ষে কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত ‘সন্ত্রাসবাদী’ হাফিজের ‘মাথার দাম’ এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। তিনি এখন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর গোপন ডেরায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি। তাঁর পুত্র তলহার বিরুদ্ধেও রয়েছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার নানা অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে লস্করের সামাজিক শাখা জামাত-উদ-দাওয়া সমর্থিত রাজনৈতিক দল পিএমএমএল-র টিকিটে পাক পঞ্জাব প্রদেশের আইনসভায় আসন্ন ভোটে লাহোরের একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তলহা।
আরও পড়ুন:
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি প্রাদেশিক আইনসভাগুলিরও ভোট। তার আগে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ন্যাশনাল এবং প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে ২৬৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জামাত প্রধান হাফিজ সমর্থিত আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিক (এএটি) নামে একটি দল। কিন্তু একটিতেও জিততে পারেনি। হাফিজের পাশাপাশি তহলাও রয়েছেন ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায়।