—ফাইল চিত্র।
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে হওয়া দ্বাদশ বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আজ যৌথ বিবৃতি দিয়ে দাবি করল দুই দেশ। গত শনিবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে মলডো-তে ওই বৈঠক হওয়ার প্রায় দু’দিনের মাথায় ওই যৌথ বিবৃতি সামনে এল। ঘটনাচক্রে আজই সকালে চিনা সেনার ভারতের জমি দখল করে রাখা নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তাঁর প্রশ্ন, কবে চিনের দখল করে নেওয়া জমি ভারতের হাতে আসবে? স্বভাবতই সে প্রশ্নে নীরব নরেন্দ্র মোদী সরকার।
গত শনিবার লাদাখের গোগরা ও হটস্প্রিং এলাকায় মোতায়েন করা সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে আলোচনায় বসেছিল দু’দেশ। প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে হওয়া ওই বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লে-তে মোতায়েন সেনার ১৪ নম্বর কোরের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন ও বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব (পূর্ব এশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব। উল্টো দিকে চিনের প্রতিনিধিত্ব করেন সে দেশের সেনার ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের কম্যান্ডার জিউ কিউলিং। আজ সেই বৈঠক নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’পক্ষের সহমতের ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনেও দু’পক্ষ পশ্চিম সীমান্তে যাতে শান্তির বাতাবরণ ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে সম্মত হয়েছে। উভয়পক্ষই তাদের বর্তমান চুক্তির ভিত্তিতে মূলত আলোচনার মাধ্যমে অন্য বিতর্কিত বিষয়গুলি দ্রুত সমাধান করতে বদ্ধপরিকর।
ঘটনাচক্রে ওই বিবৃতি আসার আগে আজ সকালে মোদী সরকারের বেজিং নীতি নিয়ে সরকারকে আক্রমণ শানান রাহুল গাঁধী। টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সঙ্গীদের কারণে ভারতের কয়েক হাজার কিলোমিটার জমি চিন দখল করে রেখেছে।’’ সেই জমি কবে ভারত ফেরত পাবে তা জানতে চান রাহুল। একাদশ বৈঠকে হট স্প্রিং, গোগরা থেকে চিনা সেনার প্রত্যাহারের বিষয়টি ছাড়াও ও ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডেপসাং উপত্যকায় চিন সেনার সামরিক পরিকাঠামো সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের মতে, শনিবারের বৈঠকে পরিকল্পিত ভাবেই ডেপসাং উপত্যকায় নির্মাণের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়নি। কারণ বর্তমানে ভারতের প্রাথমিক লক্ষ্যই হল গোগরা ও হটস্প্রিং এলাকা থেকে চিনকে সেনা প্রত্যাহার করানোয় বাধ্য করা। ডেপসাং উপত্যকার বিষয়টি জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই শনিবার তা নিয়ে কথা হয়নি। পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত। কংগ্রেস শিবিরের অভিযোগ, চিনকে সেনা সরানোর মতো বিষয়ে রাজি করাতে কালঘাম ছুটেছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। ফলে লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় যে জমি চিন গত কয়েক বছরে দখল করে রেখেছে তা ফেরত কবে পাওয়া যাবে তার কোনও দিশাও নেই সরকারের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy