প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনা। ফাইল চিত্র।
কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে লাদাখের গোগরা থেকে সেনা পিছনোর বিষয়ে ঐকমত্য হল ভারত এবং চিন। আর তার পরেই গত বছরের গালওয়ানের সংঘর্ষের ঘটনার একটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করে বেজিংয়ের দাবি, ওই ঘটনায় সে দিন চার জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল। যদিও সেই দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দিহান ভারতীয় সেনা এবং বিদেশি সামরিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলি। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উঁচু এলাকা থেকে চিনারা ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে। খরস্রোতা পাহাড়ি নদীতে দু’পক্ষের সেনাদের সংঘর্ষ চলছে। অল্প জলে ভেসে যেতেও দেখা যাচ্ছে কয়েকজন চিনা সেনাকে।
নয়াদিল্লির তরফে ঘটনার পরেই জানানো হয়েছিল, ১৫ জুন রাতে গলওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ (পিপি-১৪)-এ সংঘর্ষে বিহার রেজিমেন্টের এক কর্নেল এবং ১৯ জন জওয়ান নিহত হন। চিনের তরফে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টেও ৩০ জনের বেশি চিনা সেনার মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এত দিন পর্যন্ত চিনের তরফে নিহত লালফৌজের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। ভারতীয় সেনার একটি সূত্রে দাবি, লাদাখে মোতায়েন বাহিনীর মনোবল অক্ষুন্ন রাখতেই নিহতের সংখ্যা কম করে দেখাতে চেয়েছে বেজিং।
গত শনিবার লাদাখের চুসুলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লাগোয়া মল্ডোতে কোর কমান্ডার স্তরের ১২তম বৈঠকে হট স্প্রিংস এবং গোগরা হাইটে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) ও ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। পূর্ব লাদাখের গোগরা হাইটে এখন দু’দেশেরই শতাধিক সেনা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
পরবর্তী পর্যায়ে দেপসাং এলাকা থেকে সেনা পিছনোর বিষয়ে কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই তাজিকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের পর চিনের বিদেশিমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে স্থির হয়, লাদাখ সীমান্তে পরবর্তী পর্যায়ে ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ এবং ‘ডিএসক্যালেশন’ প্রক্রিয়া কার্যকরের জন্য দ্রুত কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy