পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা মহম্মদ আসিফের এক্স হ্যান্ডল ‘ব্লক’ করল ভারত সরকার। কেন তাঁর অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে ‘ভুল তথ্য এবং ভুয়ো খবর’ ছড়ানোর অভিযোগেই কোপ পড়ল আসিফের এক্স হ্যান্ডল অ্যাকাউন্টে।
সম্প্রতি, ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক খবর প্রচারের অভিযোগে পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত। সেই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলও। কোপ পড়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেলের উপর। সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ হওয়া পাক ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু প্রচার করা হচ্ছিল। এমনকি মিথ্যা ভাষ্য তৈরি এবং ভারতের সেনাবাহিনী সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ওই চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে। সেই আবহেই এ বার আসিফের এক্স অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই বার বার আসিফকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। কখনও ‘আন্তর্জাতিক তদন্তের’ দাবি করেছেন, আবার কখনও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তৈরি থাকা এবং পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার ব্যবহারের কথাও বলেছেন। সোমবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, ‘‘আমরা আমাদের বাহিনীকে তৈরি রাখছি।’’ কেন তিনি এই মন্তব্য করেছেন, তারও ব্যাখ্যা দেন তিনি। আসিফের কথায়, ‘‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আমরা সেই পথেই হাঁটছি।’’ শাহবাজ় শরিফের সরকারের মন্ত্রীর দাবি, ‘‘ভারতীয় আক্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সরকারকে জানিয়েছে।’’ মঙ্গলবারই তাঁর অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করল ভারত।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। তারা দাবি করছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি ‘নিরপেক্ষ তদন্তেরও’ দাবি জানিয়েছে তারা। পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় ভারত বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে পাকিস্তানিদের। পাকিস্তানও বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে ভারতের বিরুদ্ধে।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
২১:৫৯
মোদি, রাজনাথের মুখে পরমাণু হুমকি প্রসঙ্গ, বিদেশ সচিব জানালেন হুমকি দেয়নি পাকিস্তান -
২১:০৮
‘১৭ বছর ধরে ভারতে কাজ করছি, আমরা তো ভারতীয়ই’! কোর্টে তুরস্কের সংস্থা, কী যুক্তি কেন্দ্রের -
২০:৩১
‘অপারেশন সিঁদুরে’র প্রাণ— চোখে চোখ রেখে বদলা, পাকিস্তানি সেনাদের মেরে ঘাঁটি গুঁড়িয়েছে পুঞ্চ ব্রিগেড -
১৫:০৮
‘আমি ওর সঙ্গে কাশ্মীরেও গিয়েছি’ কলকাতার বন্ধু সৌমিত কী জানালেন জ্যোতির সফর নিয়ে -
গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার ১১, চরবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণ হলে কী শাস্তি হবে জ্যোতির?