Advertisement
E-Paper

লাদাখ পরবর্তী সময়ে মহাকাশ যুদ্ধে চিনকে টেক্কা দিতে প্রস্তুতি শুরু করল মোদীর ভারত

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে গঠিত ডিএসএ-তে সশস্ত্র বাহিনীর ৩ শাখার আধিকারিকদের পাশাপাশি রয়েছেন ডিআরডিও-র প্রতিনিধিরা।

এস্যাট ক্ষেপণাস্ত্র।

এস্যাট ক্ষেপণাস্ত্র। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:০৩
Share
Save

দু’বছর আগে উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরুর বার্তা দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এ বার অন্তরীক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দৃঢ় করার লক্ষ্যে গড়া মহাকাশ প্রতিরক্ষা সংস্থা (ডিফেন্স স্পেস এজেন্সি বা ডিএসএ) প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জনের উদ্দেশ্যে নয়া কর্মসূচি শুরু করেছে। সরকারি সূত্রের খবর, লাদাখ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে মহাকাশে চিনকে টেক্কা দিতেই এই তৎপরতা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে গঠিত ডিএসএ-তে সশস্ত্র বাহিনীর ৩ শাখার আধিকারিকদের পাশাপাশি রয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-র প্রতিনিধিরা। প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, সংস্থার নয়া কর্মসূচি মহাকাশ পরিস্থিতি সচেতনতা (এসএসএ) সফল করার উদ্দেশ্যে বেসরকারি কিছু বিজ্ঞান সংস্থার সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।

২০১৯-এর ২৭ মার্চ ডিআরডিও-র ‘মিশন শক্তি’ কর্মসূচিতে তৈরি ‘এস্যাট’ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপৃষ্ঠের ৩০০ কিলোমিটার উপরে থাকা একটি বাতিল উপগ্রহকে ধ্বংস করেছিল। ওডিশার এ পি জে আব্দুল কালাম উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশে প্রথম ভারতীয় পদার্পণের সেই ইতিহাসের পর ২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে।

দ্বিতীয় দফার কর্মসূচিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি, নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের তরঙ্গের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত ভাবে চিহ্নিত করা এবং মহাকাশ যুদ্ধের কৌশলগত পদক্ষেপের পাশাপাশি মহাকাশের পরিবেশ রক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। আগামী মার্চ মাসে এ বিষয়ে প্রাথমিক দিশানির্দেশ তৈরি হতে পারে বলে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

‘এস্যাট’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নানা অভিযোগ উঠেছিল ভারতের বিরুদ্ধে। ধ্বংস হওয়া অকোজো উপগ্রহটির শ’চারেক টুকরো মহাকাশে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা অভিযোগ তুলেছিল সে সময়। সামরিক উদ্দেশ্যে মহাকাশের ব্যবহারের পথপ্রদর্শক আমেরিকা। পরবর্তী কালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চিনও সেই পথ অনুসরণ করে। অতীতে ওই ৩ দেশের বিরুদ্ধেও উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে মহাকাশ দূষণের অভিযোগ উঠেছে।

২০২০-র সেপ্টেম্বরে চিন একটি উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল। ভারতকে ‘জবাব’ দিতেই চিনের ওই পদক্ষেপ ছিল বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ। সম্প্রতি আমেরিকার কংগ্রেসে পেশ করা একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মহাকাশে ভারতের মোকাবিলার উদ্দেশে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নতুন প্রস্তুতি শুরু করেছে।

Star War Space War DRDO Star Wars ASAT

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।