রথীন রায়। ফাইল চিত্র
অর্থমন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারামনের প্রথম বাজেটেই ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার হিসেবের গরমিল ধরেছিলেন তিনি। সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত বন্ড ছেড়ে বিদেশ থেকে ডলারে ঋণ নেওয়ার বাজেট-প্রস্তাবেও তাঁর আপত্তি ছিল। তা নিয়ে মুখ খোলায় মোদী সরকারের কর্তাব্যক্তিরা তাঁর উপরে রুষ্ট হন বলে মেনে নিলেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য রথীন রায়। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রকের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’, দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি (এনআইপিএফপি)-র ডিরেক্টর পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
আজ এক সাক্ষাৎকারে রথীন জানিয়েছেন, যে সব সংবাদমাধ্যম মোদী সরকারের সমালোচনা করে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে তাঁকে বারণ করা হয়। তাঁর কথায়, “আমাকে এক সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যে সব সংস্থার সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তাদের সঙ্গে কথা বললে আমার নম্বর বাড়বে না।”
মোদী জমানায় এর আগে রঘুরাম রাজন, অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম, অরবিন্দ পানাগড়িয়ার মতো অর্থনীতিবিদেরা সরকারি পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, অর্থনীতির বাস্তব চিত্র নিয়ে মুখ খুললেই এখন সরকারের রোষে পড়তে হয়। সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে রথীনের মন্তব্য, “কয়েক জন ব্যক্তি কি (আমার উপরে) অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন? অবশ্যই হয়েছিলেন।” সরকারি বন্ডের মাধ্যমে ডলারে ঋণ নেওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠান রথীন। আজ জানান, সরকারের বাইরে থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তাই ওই প্রস্তাব শিকেয় তুলে দেওয়ার পিছনে তাঁর কৃতিত্ব রয়েছে বলে রথীনের দাবি। ব্রিটেনের ওভারসিজ় ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে যোগ দিতে চলা রথীনের বক্তব্য, দেশে পছন্দমতো কাজ না-মেলাতেই তিনি ব্রিটেন যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy