দিল্লির বিধানসভা ভোটে শূন্যের হ্যাটট্রিক করার দু’দিনের মাথাতেই আবার জাতগণনার দাবি তুলল কংগ্রেস। সোমবার রাজ্যসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী জাতগণনা নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়ার অভিযোগ তুললেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালের আদমসুমারির রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। ফলে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের অনেককেই এখনও খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।’’
সম্প্রতি লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন বর্তমানে ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী খাদ্যসুরক্ষা আইনে সহায়তা করা হচ্ছে। এর ফলে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের অন্তত ১৪ কোটি মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, প্রায় দু’বছর আগেই কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই জাতগণনার দাবি তোলা হয়েছিল। ২০২৩ সালে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়েই প্রথম জাতগণনার দাবি তুলেছিলেন রাহুল। গত বছর লোকসভা ভোটের প্রচারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার পরেই আমরা প্রথম কাজটি যা করব তা হল, দেশের ওবিসিদের সঠিক সংখ্যা জানার জন্য একটি জাতভিত্তিক গণনা করা। কারণ, তাঁদের সঠিক সংখ্যা কেউ জানেন না।’’
আরও পড়ুন:
লোকসভা ভোটে ‘জিতনি আবাদি, উতনা হক’ (যে জনগোষ্ঠীর যত সংখ্যা, সংরক্ষণে তার তত অধিকার) স্লোগান তুলে ওবিসি এবং তফসিলি ভোট বেড়েছিল কংগ্রেসের। বর্তমানে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তফসিলি জাতির সংরক্ষণ ১৫ শতাংশ, তফসিলি জনজাতিভুক্তরা পান সাত শতাংশ সংরক্ষণ। ওবিসিরা পান ২৭ শতাংশ পর্যন্ত সংরক্ষণের সুবিধা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ওবিসি-দের জন্য ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকলেও আসলে জনসংখ্যায় তাদের হার বেশি। আসল সংখ্যা প্রকাশ্যে এলে ওবিসি কোটায় আরও সংরক্ষণের দাবি উঠবে। তাতে উচ্চবর্ণ বা জেনারেল ক্যাটেগরি এবং ওবিসি, দু’দিক থেকেই চাপে পড়বে বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, ডেএমকে-র মতো ‘ইন্ডিয়া’ শরিকেরাও এই প্রশ্নে কংগ্রেসের পাশে রয়েছে।