Advertisement
E-Paper

গ্রামেও মৃ্ত্যুমিছিল, নয়ডায় এক ছেলেকে দাহ করে ফিরে অন্য ছেলের নিথর দেহ দেখলেন বাবা

২৮ এপ্রিল থেকে ওই গ্রামে পর পর ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের সকলেরই গায়ে জ্বর ছিল। শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন অনেকে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২১ ১২:৫৭
Share
Save

এক ছেলের দাহকার্য শেষ করে আসার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। বাড়ি ফিরে মৃত্যু সংবাদ শুনলেন দ্বিতীয় ছেলের। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডা।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশ। হাসপাতাল, শ্মশান, কবরস্থান থেকে মর্মান্তিক দৃশ্য উঠে আসছে। তার মধ্যেই গ্রেটার নয়ডায় ২৪ ঘন্টায় দুই ছেলেকেই হারালেন এক প্রবীণ দম্পতি। প্রথম ছেলেকে দাহ করে ফিরতেই বাড়িতে দ্বিতীয় ছেলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখলেন তাঁরা।

মঙ্গলবার দিল্লি সংলগ্ন গ্রেটার নয়ডার জালালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের বাসিন্দা আতার সিংহের ছেলে পঙ্কজের মৃত্যু হয়। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পঙ্কজ। আত্মীয় ও পড়শিরা পঙ্কজের সৎকার করতে যান।

আতার সিংহের আর এক ছেলে দীপকও বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। দাদার সৎকারে না গিয়ে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। কিন্তু পঙ্কজের সৎকার সেরে আতাররা বাড়ি ফিরে দেখেন দীপকের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ আতার সিংহ ও তাঁর স্ত্রী। শোকের ছায়া গোটা গ্রামেও।

তবে পঙ্কজ এবং দীপক দু’জনেই বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ থাকলেও, তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না, নিশ্চিত করতে পারছেন না কেউ। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ২৮ এপ্রিল থেকে গ্রামে পর পর ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের সকলেরই গায়ে জ্বর ছিল। শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন অনেকে। কিন্তু শহরের দিকে যে হারে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে, গ্রামের দিকে এখনও তা হচ্ছএ না বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তাই মৃতরা সংক্রমিত হয়েছিলেন কি না জানার উপায় নেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}