প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের প্রশংসায় আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার। ছবি পিটিআই।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের ভূয়সী প্রশংসা করল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)। তাদের পর্যবেক্ষণ, লকডাউনের সময় মোদীর ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজের জোরেই বড়সড় ধাক্কা এড়াতে পেরেছে ভারতের অর্থনীতি। ওই আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়লেও শুক্রবার একেবারে উল্টো সুর শুনিয়েছে আইএমএফ।
আইএমএফের মতে, মোদীর আহ্বানে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার অভিযানের ফলেই করোনাভাইরাসের মতো অতিমারির ধাক্কা এড়াতে পেরেছে ভারত। আইএমএফের জনসংযোগ বিভাগের ডিরেক্টর জেরি রাইস বলেন, “করোনাভাইরাসের ধাক্কার পর আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে যে আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছিল, তা উল্লেখযোগ্য ভাবে সে দেশের অর্থনীতির নিম্নগামী হওয়ার ঝুঁকি প্রশমিত করেছে। সুতরাং ওই উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
দেশ জুড়ে লকডাউন চলাকালীন গত মে মাসে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে ওই অভিযানের অঙ্গ হিসাবে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করা হয়। তবে তা যে যথেষ্ট নয়, বরাবরই সে অভিযোগ করে এসেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। সে সময় আইএমএফ-এরও পূর্বাভাস ছিল, ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি ৪.৫% নিম্নমুখী হবে। ভারতের অর্থনীতি নিয়ে সে সময় আইএমএফ-এর আশঙ্কা সত্যি করে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক অর্থাৎ এপ্রিল-জুনে দেশের জিডিপি-র হারও আশাতীত ভাবে ২৩.৯ শতাংশ সঙ্কোচন ঘটে। তবে এ দিন সে সব আশঙ্কার বিন্দুমাত্র অংশ শোনায়নি আইএমএফ। উল্টে ভারত যে বিশ্ব অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও বড় ভূমিকা নিতে পারে, তা মনে করে তারা। রাইসের মতে, বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে ভারতকে এমন নীতি গ্রহণ করতে হবে, যা এ দেশের অর্থনীতিতে দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করে। এমনকি, ভারতের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি বিলের প্রতিবাদে ভারত বন্ধ, দেশ জুড়ে বিক্ষোভে কৃষকরা
রাইসের কথায়, ‘‘ ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর লক্ষ্যপূরণে নিজেদের নীতিতে অবিচল থাকাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে ভারতকে। যা বিশ্ববাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারতকে আরও সংহত ভূমিকা নিতে সাহায্য করবে।’’
আরও পড়ুন:
এই লক্ষ্যপূরণ করতে ভারতকে পরিকাঠামো, ভূমিসংস্কার, পণ্যের বাজার ও শ্রমক্ষেত্রেও সংস্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে চাকরির সুযোগ বাড়ানো এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের মাত্রাও বাড়াতে হবে বলে মনে করে আইএমএফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy