— প্রতীকী ছবি।
গোবর এবং গোমূত্র থেকে কি টেকসই এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করে কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব? গবেষণায় মগ্ন আইআইটি (বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়)-এর গবেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, গবেষণা সফল হলে বদলে দেওয়া যাবে গ্রামীণ ভারতের অর্থনৈতিক চালচিত্র।
সাম্প্রতিক গবেষণা, ‘সায়েন্টিফিক ক্যারাকটারাইজ়েশন মেথডস ফর বেটার ইউটিলাইজ়েশন অফ ক্যাটল ডাং অ্যান্ড ইউরিন: এ কনসাইস রিভিউ’-য়ে তেমনই দাবি করা হয়েছে। ভারত সরকারের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রক এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য তথা আইআইটি (বিএইচইউ)-এর স্কুল অফ বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক অভিষেক সুরেশ ধোবলে জানাচ্ছেন, দুধ ছাড়া কৃষকরা গরুর মূত্র এবং গোবর থেকেও আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারেন। যদিও তিনি মেনে নিচ্ছেন, এই ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণার খামতি রয়েছে। সেই খামতি দূর করতেই তাঁদের পরিশ্রম।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই গবেষণার জেরে শুধু যে এ বিষয়ে সামগ্রিক জ্ঞানবৃদ্ধি হচ্ছে তা-ই নয়, বরং আগামিদিনে আরও প্রগতিশীল গবেষণার দরজাও খুলে যাচ্ছে। গরুর গোবর এবং গোমূত্রের ‘প্রোফাইলিং’-এর মাধ্যমে প্রাচীন তথা প্রচলিত গ্রামীণ ধ্যানধারণাকেও বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। যা আগামিদিনে গোবর এবং গোমূত্র থেকে তৈরি দাঁতের মাজন, কেশতৈল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার প্রভৃতির অর্থনৈতিক প্রগতির পথ প্রশস্ত করতে পারে।
অভিষেক এই প্রেক্ষিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ডিরেক্টর অধ্যাপক প্রমোদকুমার জৈনের প্রতি। এই ধরনের বিশেষ গবেষণার জেরে ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিতে গরুর উপযোগিতা আরও দৃঢ় হবে বলেও মনে করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy