Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
1984 Sikh Riots

নরসিংহ রাও যদি গুজরালের পরামর্শ মেনে নিতেন তবে ’৮৪-র দাঙ্গা হত না: মনমোহন সিংহ

বুধবার ছিল দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরালের জন্মশতবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মনমোহন সিংহ। সেখানেই তাঁর পূর্বসূরি সম্পর্কে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনেন মনমোহন।

মনমোহন সিংহ। ফাইল চিত্র।

মনমোহন সিংহ। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৭
Share: Save:

পি ভি নরসিংহ রাও যদি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরালের পরামর্শ শুনতেন, তা হলে ১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গা এড়ানো সম্ভব হত। এমনই দাবি করে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছেন দেশের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ

বুধবার ছিল দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরালের জন্মশতবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মনমোহন সিংহ। সেখানেই তাঁর পূর্বসূরি সম্পর্কে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনেন মনমোহন। তাঁর দাবি, “১৯৮৪-র ঘটনা যে দিন ঘটে, সে দিনই সন্ধ্যায় তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন গুজরালজি। পরিস্থিতি যে সঙ্কটময় হয়ে উঠেছে সে বিষয়ে জানিয়ে দ্রুত সেনা নামানোর পরামর্শ দেন রাওকে।” এর পরই তাঁর মন্তব্য, “সে দিন যদি গুজরালের পরামর্শ শোনা হত, তা হলে ’৮৪-র ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত।”

১৯৮৪-র ৩১ অক্টোবর তাঁরই শিখ দেহরক্ষীর হাতে নিহত হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গুজরালের জন্মশতবার্ষিকী ওই অনুষ্ঠানেই মনমোহন জানান, ১৯৭৫-৭৭-এর জরুরি অবস্থার পরে কী ভাবে গুজরালের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৯৭৫-এ গুজরাল দেশের তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। কিছু সমস্যা তৈরি হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে যোজনা কমিশনের প্রতিমন্ত্রীর পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সময় দেশের অর্থমন্ত্রকের উপদেষ্টা ছিলাম আমি। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।”

আরও পড়ুন: উন্নাওয়ের ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা অভিযুক্তদের

আরও পড়ুন: তিহাড় থেকে বেরিয়েই সনিয়ার কাছে চিদম্বরম

অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। ১৯৯৮-তে গুজরাল পরিচালিত সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া সংক্রান্ত কংগ্রেস নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রণবের মন্তব্য, যদি সমর্থন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত না নেওয়া হত, তা হলে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসতে পারত না।

১৯৯৭ এপ্রিল থেকে ১৯৯৮-এর মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন গুজরাল। তিনি ছিলেন দেশের দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কী ভাবে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়, সে জন্য পাঁচটি নীতি তৈরি করেছিলেন। যা ‘গুজরাল ডকট্রিন’ নামে পরিচিত। ২০১২-র ৩০ নভেম্বর ৯২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy