প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দেশ জুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রামেশ্বরমের পাম্বান রেল সেতু পরীক্ষা নিরাপত্তা রক্ষীদের। সোমবার। ছবি: পিটিআই।
জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা মোটের উপরে শান্তই। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লি ও জম্মু-কাশ্মীরে বড় মাপের হামলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ফলে এক দিকে সন্ত্রাস-দমন অভিযানে জোর দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এর পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে সতর্ক করা হয়েছে বিএসএফকে। ড্রোন হামলার সম্ভাবনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ড্রোন-বিরোধী প্রযুক্তি।
আজ দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, ‘‘দিল্লির উপরে জঙ্গিদের নজর সব সময়েই রয়েছে। অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছি আমরা।’’
আস্থানা জানান, গত দু’মাস ধরে দিল্লি পুলিশ ২৬টি ক্ষেত্রে অভিযানে গতি এনেছে। তার মধ্যে রয়েছে নিয়মিত গাড়ি তল্লাশি, হোটেল-লজে তল্লাশি, দিল্লিতে বাইরে থেকে আসা ভাড়াটে, শ্রমিক, পরিচারকদের পরিচয় সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া। রাজধানীর সুরক্ষার জন্য মোট ২৭,৭২৩ জন কর্মী মোতায়েন করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৭১ জন ডেপুটি কমিশনার, ২১৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ৭৫৩ জন ইনস্পেক্টর এবং দিল্লি পুলিশ কমান্ডার। মোতায়েন রয়েছে ৬৫ কোম্পানি আধাসেনাও।
গত বছরে জম্মু বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোনের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটায় পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট জঙ্গিরা। তার পর থেকেই ড্রোন হামলার মোকাবিলা নিয়ে নতুন ভাবে ভাবনাচিন্তা করতে বাধ্য হয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে এ বার ড্রোন-বিরোধী প্রযুক্তি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান আস্থানা। মজবুত করা হয়েছে সেন্ট্রাল ভিস্টা এলাকার সুরক্ষাও।
আস্থানা জানান, অন্য রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য ছড়ানো রুখতে ও সচেতনতা বাড়াতে সক্রিয় রয়েছে দিল্লি পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া সেল।
অন্য দিকে জম্মু-কাশ্মীরেও গোয়েন্দা সূত্রে হামলা ও অশান্তির সম্ভাবনার কথা জানতে পেরেছে সেনা, বিএসএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
আজ বিএসএফের কাশ্মীর রেঞ্জের আইজি রাজা বাবু সিংহ ও জম্মু রেঞ্জের আইজি ডি কে বুরা জানান, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। তাই সীমান্তে সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিএসএফের কাশ্মীর রেঞ্জের আইজি-র মতে, নিয়ন্ত্রণ রেখা এখন মোটের উপরে শান্ত। কিন্তু পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরে অন্তত ১৩৫ জন জঙ্গি জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে চলতি বছরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কমেছে বলে জানান তিনি। ২০২১ সালে ৫৮টি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে পাঁচ জন জঙ্গি। ২১ জন পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে পালিয়ে গিয়েছে। এক জন আত্মসমর্পণ করেছে। বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে বিএসএফ।
ড্রোনের বিপদকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। রাজা বাবু সিংহের বক্তব্য, ‘‘চলতি বছরে বেশ কয়েকটি ড্রোনকে সীমান্তের কাছে দেখা গিয়েছে। তবে সেগুলি ভারতীয় এলাকায় ঢোকেনি। ড্রোন-বিরোধী প্রযুক্তি মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের হাতেও কয়েকটি ড্রোন এসেছে। প্রয়োজনে বিপদের মোকাবিলা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy