রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দিব্যা স্পন্দনা। ছবি: পিটিআই।
বাবার মৃত্যুর পর একেবারে মুষড়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বার বারই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। কিন্তু সেই ভাবনা থেকে সরে আসতে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন কন্নড় অভিনেত্রী দিব্যা স্পন্দনা।
কী ভাবে তিনি নিজের মনের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছেন, কী ভাবে তাঁর দিনগুলি কেটেছে, আর কী ভাবেই বা সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছেন, ওই সাক্ষাৎকারে তা খোলসা করেছেন লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দিব্যা। কংগ্রেসের মুখপাত্র স্পন্দনা বলেন, “বাবার মৃত্যুর দু’সপ্তাহ পর সংসদে গিয়েছিলাম। তখনও শোকের মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারিনি। সংসদে কী হচ্ছিল কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।”
কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ জানান, বাবার মৃত্যুর শোক এমন ভাবে ঘিরে ধরেছিল যে তিনি কাজে মন বসাতে পারছিলেন না। তার মধ্যে নির্বাচনেও হেরে গিয়েছিলেন। একে বাবার মৃত্যু তাঁর কাছে একটা বড় ধাক্কা ছিল, তার উপর নির্বাচনে হেরে যাওয়া সেই ধাক্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। তখন তাঁর মনে হচ্ছিল, আত্মহত্যাই একমাত্র পথ। সেই পথই যখন বেছে নেওয়ার পথে হাঁটছিলেন, ঠিক সেই সময়েই তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান রাহুল। তাঁকে মানসিক ভাবে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। আত্মহত্যার চিন্তাভাবনার পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। স্পন্দনার কথায়, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রভাব রয়েছে যাঁর, তিনি হলেন আমার মা, তার পর বাবা এবং তৃতীয় জন রাহুল গান্ধী।” কন্নড় অভিনেত্রীর দাবি, রাহুল যদি সে দিন তাঁর পাশে এসে না দাঁড়াতেন, তা হলে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারত।
২০১২ সালে যুব কংগ্রেসে যোগ দেন স্পন্দনা। কর্নাটকের মান্ড্য থেকে ২০১৩ সালের উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। কংগ্রেসের সমাজমাধ্যম সেলের প্রধান ছিলেন স্পন্দনা। পরে ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। গত বছর আবার অভিনয়ে ফেরার কথাও ঘোষণা করেছিলেন এই কন্নড় অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy