ঘরের আয়নায় লেখা লাল রঙের লিপস্টিক দিয়ে ইংরেজি হরফে লেখা দু’টি শব্দ— ‘আই কুইট’। তার পরই ঘর থেকে উদ্ধার হল আইনের এক ছাত্রীর দেহ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসীর প্রেমনগর থানা এলাকার।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে আইনের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতার নাম দানিশ আরা। পরিবার সূত্রে খবর, ৪-৫ মাস আগে দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দন্ত্যচিকিৎসক আসাদের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। ধীরে ধীরে তাঁদের দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দানিশকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন আসাদ। কিন্তু কিছু দিন আগে অন্যত্র সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় দানিশের।
আরও পড়ুন:
পরিবার সূত্রে খবর, এই বিয়ের বিরোধিতা করেছিলেন দানিশ। গত ৯ এপ্রিল দানিশকে নিজেদের বাড়িতে ডাকেন আসাদ। তাঁদের বাড়ি থেকে ফেরার পর থেকেই মনমরা হয়ে ছিলেন দানিশ। দানিশের পরিবারের অভিযোগ, নিজেদের বাড়িতে দানিশকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মানসিক নির্যাতন করেন আসাদ ও তাঁর পরিবার। দানিশের ফোন, গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। দানিশের বাবা এবং দাদুকেও ডেকে পাঠান আসাদ। তাঁদেরও অপমান করেন বলে অভিযোগ।
৯ এপ্রিল রাতে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে চলে যান দানিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দানিশের পরিবার আসাদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।