নিজের অপরাধের জন্য তিনি অনুতপ্ত। আর এই অপরাধের শাস্তি পাওয়া উচিত। এমনই দাবি করলেন মিলনরত যুগলের খুনে অভিযুক্ত তান্ত্রিক ভালেশ কুমার।
চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সাংবাদিকরা ভালেশকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি যুগলকে খুন করেছেন। প্রথমে তিনি দাবি করেন যে, ওই যুগল তাঁদের সম্মোহনের পদ্ধতি শেখানোর জন্য জোরাজুরি করছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁদের খুন করেছেন। কিন্তু তাঁর এই দাবি কতটা সত্য, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ। তবে এই কাজের জন্য তিনি অনুতপ্ত বলেও দাবি করেছেন তান্ত্রিক। তাঁর কথায়, “আমি ভুল করেছি। এর জন্য আমার শাস্তিই পাওয়া উচিত।”
রাজস্থানের উদয়পুরে গত ১৮ নভেম্বর এক মিলনরত যুগলের গায়ে ফেভিকুইক ঢালার পর কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। মৃত যুগলের নাম রাহুল মিনা (৩০) এবং সোনু কুঁয়ার (২৮)। পুলিশ জানিয়েছে, রাহুল বিবাহিত। সোনুও তাই। দু’জনের পরিবারের সঙ্গে তান্ত্রিক ভালেশের ভাল যোগাযোগ ছিল। ফলে রাহুলের সঙ্গে সোনুর একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেটা জানতে পেরেছিলেন তান্ত্রিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি জানার পর রাহুলের স্ত্রীকে তা জানান। এ নিয়ে রাহুলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। এর পরই রাহুলের স্ত্রী ওই তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন। এর পরই তান্ত্রিক রাহুল এবং সোনুকে ডাকেন। একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের দু’জনকে মিলনে লিপ্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। দু’জন মিলনে লিপ্ত হতেই বোতলে ভরা ফেভিকুইক তাঁদের গায়ে ঢেলে দেন। তাতে দু’জন আটকে গেলে রাহুলের গলার নলি কেটে দেন, সোনুকে কুপিয়ে খুন করেন তান্ত্রিক।
পুলিশ জানিয়েছে, মিলনরত অবস্থায় যুগলকে খুন করতে চেয়েছিলেন তান্ত্রিক, যাতে আপত্তিকর অবস্থায় তাঁদের দেহ মেলে এবং তাঁকে কেউ সন্দেহ না করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy