Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

এনকাউন্টার: আরও ৪ দিন থাকবে দেহ

নিহত চার অভিযুক্তের দেহ এ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। আজ শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আর এস চৌহানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, দেহগুলি ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে।

এনকাউন্টারের পর চলছে পুলিশি তদন্ত।—ছবি পিটিআই।

এনকাউন্টারের পর চলছে পুলিশি তদন্ত।—ছবি পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৩
Share: Save:

তেলঙ্গানা খুন-ধর্ষণে অভিযুক্ত চার জনের দেহ ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংরক্ষণের নির্দেশ দিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ওই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে তেলঙ্গানা পুলিশ। অন্য দিকে এই পুলিশি ‘সংঘর্ষ’-এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা শোনা হবে কি না,
তা নিয়ে বুধবার সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট।

নিহত চার অভিযুক্তের দেহ এ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। আজ শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আর এস চৌহানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, দেহগুলি ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে। মেহবুবনগরের জেলা হাসপাতাল থেকে দেহগুলিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুল্যান্সে আনতে হবে হায়দরাবাদের গাঁধী হাসপাতালে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে কি না, তা-ও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। এই মামলায় মহারাষ্ট্র বনাম পিইউসিএল মামলার রায় মেনে চলা উচিত বলেও জানায় বেঞ্চ।

এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে দু’টি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেগুলি শোনা হবে কি না, তা স্থির করতে বুধবার জরুরি শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের বেঞ্চ। হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেল বি এস প্রসাদ জানান, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টে শুনানি স্থগিত থাকা উচিত। এর পরেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নথি হাইকোর্টে জমা দিতে বলে বেঞ্চ।

হাইকোর্টের শুনানির পরে ওই সংঘর্ষের তদন্তের জন্য একটি সিট গঠন করে তেলঙ্গানা পুলিশ। তার নেতৃত্বে থাকবেন রচাকোন্ডার পুলিশ কমিশনার মহেশ ভাগবত। পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র বনাম পিইউসিএল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে সংঘর্ষের নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। অন্য দিকে আজ পুলিশি সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে জগন্মোহন রেড্ডি। আজ তিনি বলেন, ‘‘আমারও দুই মেয়ে, এক বোন ও স্ত্রী আছেন। তেলঙ্গানা পুলিশ ও সরকারকে সাধুবাদ জানাই।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘যখন সিনেমায় নায়ক কাউকে এনকাউন্টারে হত্যা করেন তখন আমরা হাততালি দিই। যখন বাস্তবে কোনও সাহসী ব্যক্তি এ কাজ করেন তখন দিল্লি থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দৌড়ে আসে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Rape Encounter Hyderabad High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy