পূজা খেড়কর। —ফাইল চিত্র।
পূজা খেদকার। প্রশিক্ষণরত আইএএস অফিসার। এই মহিলাকে ঘিরেই আপাতত তোলপাড় নেট দুনিয়া। বইছে নিন্দার ঝড়। গুরুতর অভিযোগ উঠছে পূজার বিরুদ্ধে। তিনি নাকি শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ভুয়ো শংসাপত্র বানিয়েছিলেন। তা-ও আবার এক বার নয়, দুই-দুই বার। তৃতীয় বারও সেই একই কাণ্ড ঘটাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ বার আর সেটা গোপন থাকেনি। একেবারে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে গোটা ঘটনা। তৃতীয় বার হাসপাতাল থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁর যা শারীরিক অবস্থা, তাতে ‘প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র’ দেওয়া সম্ভব নয়।
পূজার বাবা একজন প্রাক্তন আইএএস। দাদুও তাই। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের পূজা প্রথমে মে়ডিক্যালে ভর্তি হন। এমবিবিএস পাশ করেন। তারপর আবার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। পাশ করে হন ট্রেনি আইএএস। সূত্রের খবর, প্রবেশনে থাকা সিভিল সার্ভিস অফিসার পূজা ২০২২ সালে পুণের এক হাসপাতালে প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র চেয়ে দরখাস্ত করেছিলেন। হাসপাতালে তাঁর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়। শেষে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাসপাতাল। পূজাকে চিঠি দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, তাঁর নামে প্রতিন্ধকতার শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নয়।
অথচ এর আগে দু’বার শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষায় মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন পূজা। এক বার দৃষ্টিশক্তির সমস্যার কথা উল্লেখ করে, আর এক বার মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে। এই দু’টি সার্টিফিকেটই ইস্যু হয়েছিল আহমেদনগর জেলা হাসপাতাল থেকে। একটি ২০১৮ সালে, অন্যটি ২০২১ সালে। আলাদা আলাদা কমিটি প্রতিবন্ধকতার সেই শংসাপত্রগুলিকে মঞ্জুর করেছিল।
কিন্তু সম্প্রতি, পূজার সেই শারীরিক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, পূজা নাকি তাঁর শারীরিক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে মিথ্যা দাবি করে আইএএস হয়েছেন। ২০২২ সালে শারীরিক সমস্যা যাচাই করানোর মেডিক্যাল টেস্ট ছ’বার এড়িয়ে গিয়েছেন। তারপর বাইরের এক ক্লিনিক থেকে এমআরআই রিপোর্ট এনে জমা দেন। প্রায় আট মাস পর সেই রিপোর্ট গৃহীত হয়েছিল।
‘ভুয়ো’ সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রশিক্ষণরত আইএএস হওয়া পূজার আবদার ও দাবি-দাওয়াই সম্প্রতি তাঁকে ফের সংবাদ শিরোনামে নিয়ে আসে। লালবাতি গাড়ি, আলাদা কেবিন… ‘আবদারের’ যেন সীমা-পরিসীমা নেই! শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত গাড়িতেও নাকি ‘মহারাষ্ট্র সরকার’ লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতেন তিনি। এ সব অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। পূজার সব নথি-পত্র খতিয়ে দেখতে এক সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy