Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

স্বামী-সহ ৬ জনকে খুন ১৪ বছর ধরে

কোঝিকোড়ের স্থানীয় পুলিশ সূত্রের খবর, জলি প্রথম খুন করেছিলেন ১৭ বছর আগে। ২০০২ সালে, ৫৭ বছর বয়সে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জলির শাশুড়ি আন্নাম্মা টমাস।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
কোঝিকোড় শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫০
Share: Save:

টানা ১৪ বছর ধরে পরিকল্পনা করে একের পর এক ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিলেন ছ’জনকে। অনেক হিসেব করেই সে সব খুন করেছিলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। স্বামী-সহ পরিবারের ছ’জনকে খুনের ঘটনায় জলি সাজু নামে ওই গৃহবধূ এবং তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে কেরল পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।

কোঝিকোড়ের স্থানীয় পুলিশ সূত্রের খবর, জলি প্রথম খুন করেছিলেন ১৭ বছর আগে। ২০০২ সালে, ৫৭ বছর বয়সে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জলির শাশুড়ি আন্নাম্মা টমাস। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময় স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। তার ছ’বছর পরে আন্নাম্মার স্বামী টম মারা যান। ২০১১য় মৃত্যু হয় তাঁদের ছেলে তথা অভিযুক্ত জলির স্বামী রয় টমাসের। তখন ময়নাতদন্তে বিষক্রিয়ার বিষয়টি উঠে এলেও তা নিয়ে বিশেষ নাড়াচাড়া হয়নি। ২০১৪ সালে আন্নাম্মার ভাই ম্যাথুও একই ভাবে মারা যান। ২০১৬-য় রয় টমাসের খুড়তুতো ভাই সাজু-র স্ত্রী এবং দু’বছরের মেয়ে অ্যালপাইনের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি পরিবারের এক সদস্যের অভিযোগে নতুন করে তদন্ত শুরু হলে বিষয়টি সামনে আসে।

প্রাথমিক ভাবে অনুমান, সম্পত্তি গ্রাস করতেই এমন চক্রান্ত করেছিলেন জলি। জানা গিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে কবর খুঁড়ে নিহতদের দেহের ফরেন্সিক পরীক্ষা করায় পুলিশ। দেখা যায়, মৃত্যুর আগে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু খেয়েছিলেন এবং প্রত্যেকের শরীরে সায়ানাইডের অস্তিত্ব মেলে। তাতে সায়ানাইডের মাধ্যমে স্লো পয়জনিং করে তাঁদের খুন করা হয় বলে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। তাঁরা জানতে পারেন, প্রতিটি খুনের সময় জলি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। দফায় দফায় জেরার পরে জলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জলিকে সায়ানাইড পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে এমএস ম্যাথু এবং প্রাজিকুমার নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Kozhikode Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE