কৃষ্ণ খোসলা।
এক বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর রেফ্রিজারেটরে ঢুকিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল তাঁরই পরিচারক। দক্ষিণ দিল্লির ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বৃদ্ধের পরিচারক ও তাঁর চার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কৃষ্ণ খোসলা, বছর একানব্বইয়ের এই বৃদ্ধ দক্ষিণ দিল্লির গ্রেটার কৈলাস-২ এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মী ছিলেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই বয়সের কারণে বাড়ির কাজ দেখাশোনার জন্য পরিচারক রেখেছিলেন। খোসলার স্ত্রী সরোজ পুলিশকে জানিয়েছেন, অন্য দিনের মতো শনিবার সকালেই কাজে এসেছিল পরিচারক কিসান। তাঁর আচরণের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি সে দিন। দু’জনকে চা বানিয়ে খেতেও দিয়েছিল। সরোজের দাবি, চায়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল কিসান। সেটা খাওয়ার পরই দু’জনে অচৈতন্য হয়ে পড়েন।
কেন গৃহকর্তাকে খুন করেছে কিসান? জেরা করার সময় পুলিশের কাছে সে দাবি করেছে, কৃষ্ণ প্রায়শই তাকে গালিগালাজ করতেন। তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। মালিকের এই ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে তাঁকে শায়েস্তা করার জন্য মাস দেড়েক আগে অপহরণের পরিকল্পনা করে। কিন্তু তা কোনও ভাবে ভেস্তে যায়। এর পরই কৃষ্ণকে খুনের ছক কষে সে।
টেম্পোতে চাপিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য।
পরিকল্পনামাফিক এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য আরও চার জনকে জুটিয়ে নেয় কিসান। শনিবার সকালে একটি টেম্পো নিয়ে কৃষ্ণর বাড়ির সামনে হাজির হয় ওই পাঁচ জন। পুলিশ জানিয়েছে, চার সঙ্গীকে বাইরেই অপেক্ষা করতে বলে কিসান। এর পর সোজা কৃষ্ণর ঘরে ঢোকে। চা বানিয়ে খাওয়ায়। সেটা খেয়ে কৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী অচৈতন্য হয়ে পড়লে গয়নাগাটি, টাকাপয়সা সব হাতিয়ে নেয় কিসান। তার পর পাঁচ জন মিলে কৃষ্ণকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ একটা রেফ্রিজারেটরে ঢোকায়। আবাসনের বাইরে রেফ্রিজারেটরটা নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তারক্ষী কিসানকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, রেফ্রিজারেটর সারাতে নিয়ে যাচ্ছে। তার পর সেটা টেম্পোতে চাপিয়ে চম্পট দেয়।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে এল জেএমবি-র উত্তর দিনাজপুর মডিউল, জিহাদি করতে জঙ্গিদের হাতিয়ার এনআরসি!
আরও পড়ুন: আরও শক্তিশালী হল ভারতের অস্ত্রসম্ভার, বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত ৮ অ্যাপাচে হেলিকপ্টার
অন্য দিকে, জ্ঞান ফেরার পর স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সরোজ। ঘরদোর ওলটপালট দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। দেখেন ঘর থেকে গয়না, টাকা উধাও। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তদন্তে নেমে পুলিশ কিসানকে আটক করে। তাকে জেরা করতেই গোটা তথ্য সামনে আসে। কোথায় দেহ লুকিয়ে রেখেছে কিসানের কাছ থেকে তারও হদিশ পায় পুলিশ। এর পরই কিসান ও তার চার সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy