- ফাইল ছবি।
অক্সিজেন সরবরাহ ও আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির দরুন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যার অভাবই কি ভারতে ভয়াবহ পরিস্থিতির কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে? আমেরিকায় বেশ বড় আকারে চালানো একটি গবেষণার ফলাফল সেই প্রশ্নই উসকে দিল।
স্পষ্ট ইঙ্গিত করল, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই রোগীদের ‘হোম আইসোলেশন’-এ রেখে অযথা সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানো উচিত। তাতে কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা কমানো যাবে। কমতে পারে কোভিডে মৃত্যুর ঘটনাও।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা গবেষণা পত্রিকা ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপ্ন’-এ। অতিমারির প্রথম পর্বে গত বছর বিভিন্ন সময় আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২০ হাজার কোভিড রোগীকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। এত বেশি সংখ্যক কোভিড রোগীকে এর আগে এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা করা হয়নি বলে দাবি গবেষকদের।
গবেষকরা দেখেছেন, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই হাসপাতালে ভর্তি করানোর ফলে আমেরিকায় কোভিডে মৃত্যুর হার ৩৮ শতাংশ কমেছে, গত বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে। আর সেই হার আরও কমে গিয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে। ওই সময় কোনও টিকাই কিন্তু বাজারে আসেনি।
গবেষকরা আমেরিকার ৩১টি স্টেট-এর ১০৭টি হাসপাতালের কোভিড রোগীকে পরীক্ষা করেছেন। দেখেছেন, গত বছরের মার্চ ও এপ্রিলে যেখানে হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১৯.১ শতাংশ, সেখানে তা মে ও জুন মাসে কমে দাঁড়ায় ১১.৯ শতাংশে। জুলাইয়ে তা আরও কমে হয় ১১ শতাংশ। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে তা আরও কমে হয় ১০.৮ শতাংশ। ওই সময় মোট কোভিড রোগীদের মাত্র এক-তৃতীয়াংশকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করানো প্রয়োজন হয়। প্রতি ৫ জন কোভিড রোগীর মধ্যে মাত্র ১ জনকে ভেন্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy