বিয়ের জন্য ভিন্ন লিঙ্গের দুই ব্যক্তির উপস্থিতি অপরিহার্য কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে মামলার তৃতীয় দিনের শুনানির সময়ে এই মন্তব্য করেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
সমকামী সম্পর্ক যে শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদার উপর নির্ভরশীল নয়, সে কথা পর্যবেক্ষণে বলেছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। বলেছে, ‘‘সমকামী সম্পর্কগুলি কেবল শারীরিক নয়, মানসিক, স্থিতিশীল সম্পর্কও।’’ এর পরেই ৩৭৭ ধারা প্রসঙ্গ তোলে বেঞ্চ। মনে করিয়ে দেয়, ২০১৮-র ৬ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সংবিধান ৩৭৭ ধারাকে প্রত্যাহার করে সমকামিতাকে ‘অপরাধ’-এর তকমা থেকে মুক্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন— ‘‘যদি সমকামিতা অপরাধ না হয়, তা হলে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গের মানুষের বিয়ের মতো স্থিতিশীল বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধা কোথায়?’’ সেই সঙ্গে সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘বিয়ে সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণাকে নতুন ভাবে সংজ্ঞা দিতে হবে।’’
আরও পড়ুন:
গত মঙ্গলবার সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, এক জন পুরুষ কিংবা এক জন মহিলা বলতে ঠিক কী বোঝায়, তার পরিপূর্ণ কোনও ধারণা আমাদের কাছে নেই। কারণ, গোটা বিষয়টি শুধুমাত্র তাঁদের জননাঙ্গের উপর নির্ভর করে না। বিষয়টি আরও অনেক জটিল। বৃহস্পতিবার সম্পর্কের স্থিতিশীলতার বার্তা দিয়ে শীর্ষ আদালত সমলিঙ্গে বিবাহকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন বলেই আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন।