গুজরাতে বিজেপির পরাজয়ের জেরে ‘কাঠগড়ায়’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ফাইল চিত্র।
গুঞ্জন ছিল, তিনি বিক্ষুব্ধ। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারের পরেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের একাংশ বৃহস্পতিবার অনুরাগের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন। সামাজিক মাধ্যমেও তাঁকে নিশানা করা হয়েছে।
অক্টোবরে বিজেপির তরফে হিমাচল প্রদেশের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই প্রকাশ্যে চোখের জল ফেলেছিলেন অনুরাগ। সেই সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নে তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমলের অবদানের কথাও বলেছিলেন। ঘটনাচক্রে, বিজেপির সেই প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়নি প্রবীণ প্রেমকুমারের। জল্পনা, বাবার উপর দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এই ‘কোপ’ মানতে পারেননি অনুরাগ।
কংগ্রেস | ৪০ |
বিজেপি | ২৫ |
আপ | ০০ |
অন্যান্য | ৩ |
এ বার হিমাচলে ভোটের প্রচারেও তেমন ভাবে দেখা যায়নি বিজেপি যুব মোর্চার প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অনুরাগকে। রাজ্যের ৬৮ আসনের অন্তত ২১টিতে বিজেপির টিকিট না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীরা লড়াইয়ে ছিলেন। তাঁদের অনেকেই ধুমল পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, প্রেমকুমার-অনুরাগের জেলা হামিরপুরের ৫টি আসনের মধ্যে সব ক’টিতেই হেরেছে বিজেপি।
অনুরাগ ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, নড্ডার ব্যক্তিগত আপত্তিতেই নাকি এ বার বয়সের অজুহাতে ছাঁটাই করা হয়েছিল প্রেমকুমারকে। ১৯৯৮-২০০৩ এবং ২০০৭-২০১২, দু’দফায় হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০১৭-য় তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে লড়তে নেমেছিল পদ্ম-শিবির। কিন্তু ‘রাজ বদলের রেওয়াজ’ মেনে ৫ বছর পরে শিমলার কুর্সি ফিরে পেলেও হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যান স্বয়ং প্রেমকুমার। ফলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব গিয়েছিল জয়রাম ঠাকুরের হাতে। সে সময় নড্ডার বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছিলেন অনুরাগ অনুগামীরা। অভিযোগের সেই তির ঘুরে গিয়েছে এ বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy