গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর— সময় ছিল প্রায় এক মাস (ঠিকঠাক বললে ২৫ দিন)। তার মধ্যে ২০ দিন অধিবেশন বসেছে। নাটকীয়তা আর সংঘাতও হয়েছে। কিন্তু বিবিধ ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হাতে পেয়েও নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে সে ভাবে কোণঠাসা করতে ব্যর্থ বিরোধীরা। বস্তুত, বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধী শিবিরের মধ্যে ‘অনৈক্য’ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। তৃণমূল বা সমাজবাদী পার্টির মতো দল যে কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’ মানতে নারাজ, তা-ও বেরিয়ে এসেছে। যদিও দু-একটি বিষয়ে ‘বিরল ঐক্য’ও দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে শেষ লগ্নে বিরোধীদের কাছে ক্ষীণ ‘আলোর রেখা’ হয়ে দেখা দিয়েছে অম্বেডকর সম্পর্কে অমিত শাহের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য, যাকে ভবিষ্যতে বিরোধী শিবির ‘অস্ত্র’ করলেও করতে পারে।
অধিবেশনের সূচনায় ছিল আদানি ঘুষকাণ্ড। শেষ পর্বে অম্বেডকর-বিতর্ক এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে সাংসদদের এফআইআর! মাঝের সময়টায় ওয়াকফ এবং ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল, মণিপুর হিংসা, সংবিধান-বিতর্ক এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে সরকার বনাম বিরোধী তরজা।
শুক্রবার সংসদের ২০২৪ সালের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হয়েছে। অধিবেশনের গোড়ার এক সপ্তাহে বার বার সংসদ ‘অচল’ হয়েছে আদানি ঘুষকাণ্ডে জেপিসি (যৌথ সংসদীয় কমিটি) গঠনের দাবিতে কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দলের বিক্ষোভে। ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং তৃতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল সংসদ অচল করার ‘কংগ্রেসি কৌশলে’র সমালোচনা করেছে গোড়া থেকে। আবার ওয়াকফ বিল, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে উপ রাষ্ট্রপতি ধনখড়ের অপসারণ এবং ‘এক ব্যক্তি এক ভোট’ নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থানে সায় দিলেও শেষবেলায় সংসদের মকর দ্বারে বিরোধীদের সঙ্গে বিজেপি সাংসদদের হাতাহাতি পর্ব থেকে সন্তর্পণে ‘দূরত্ব’ বজায় রেখেছেন তৃণমূল সাংসদেরা।
চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে বেশ খানিকটা শক্তিক্ষয় করে ক্ষমতায় আসার পরে সংসদে বিরোধী শিবিরের ‘চাপ’ বেড়েছে মোদী সরকারের উপর। সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল শীতকালীন অধিবেশন শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপুল জয়। তবুও অধিবেশনের প্রথম দিনেই আদানি ‘ঘুষকাণ্ড’ নিয়ে বিরোধীদের একাংশের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়েছিল সরকারকে। আর বৃহস্পতিবার শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার আগের দিন সংসদ ভবন চত্বর দেখল সরকার এবং বিরোধীপক্ষের সাংসদদের ধাক্কাধাক্কি এবং আহত দুই সাংসদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা, যে ঘটনায় অভিযুক্ত লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী স্বয়ং।
‘আদানি সেফ হ্যায়’!
গত ২০ নভেম্বর আমেরিকার আদালতে আদানিদের বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ-সহ অভিযোগপত্র’ (ইনডিক্টমেন্ট) জমা পড়েছিল। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পাওয়ার বিনিময়ে ভারতের সরকারি আধিকারিকদের (মন্ত্রী এবং আমলা) ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সাগর-সহ সাত জনকে অভিযুক্ত করা হয় তাতে। শীত অধিবেশনের গোড়া থেকেই আদানিকাণ্ডের তদন্তে জেপিসি গঠন এবং প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডিয়া’র কয়েকটি শরিকদল। কিন্তু তাতে শরিক হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। ‘দূরত্ব’ রেখেছিল অখিলেশ যাদবের এসপি-ও। সংসদ ভবনের প্রবেশপথ মকর দ্বারে বিক্ষোভের পাশাপাশি লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশনে শোরগোল হয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে। তাতে দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। আদানিকাণ্ডে জেপিসি গঠনের পাশাপাশি দেড় বছর ধরে চলা মণিপুর হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি ঘিরেও অশান্তি হয়েছে সংসদে।
মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে মোদী ধারাবাহিক ভাবে ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ স্লোগান দিয়েছেন। সেই স্লোগানকে খানিক বদলে পোশাকে সেই লেখার স্টিকার সেঁটে কংগ্রেস, আরজেডি, ডিএমকে, উদ্ধবসেনার সাংসদরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু জেপিসি গঠন নিয়ে সরকারকে দাবি মানাতে বাধ্য করতে পারেননি।
ভিন্ন সুরে তৃণমূল! সঙ্গী এসপি
অধিবেশনের শুরু থেকেই তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল, আদানিকাণ্ড নিয়ে সংসদ অচল করে রাখা তাঁরা সমর্থন করেন না। মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ‘অন্য অনেক বিষয়’ সামনে আনার কথা বলেন মহুয়া মৈত্র, কীর্তি আজাদ, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা। পাশে পেয়ে যান এসপি এবং অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ‘আপ’কে। বিরোধী শিবিরে সেই অনৈক্যের ছায়া অধিবেশনে মোদী সরকারের ‘প্রাপ্তি’।
৩০ নভেম্বর কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, উদ্ধবসেনা-সহ কয়েকটি দলের বিক্ষোভে পঞ্চম দিনের মতো সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে তৃণমূল, আপ এবং এসপি-র সাংসদেরা দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা ভাবে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের নিশানায় ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। অধিবেশন পর্বে সংসদের বাইর বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের (ইভিএম) ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ করেছেন তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পিঠোপিঠি ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বে কংগ্রেসের পরিবর্তে মমতার নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। আরজেডি-র লালুপ্রসাদ যাদব, এনসিপি (এস) প্রধান শরদ পওয়ার, এসপি-র অখিলেশ কয়েক জন তৃণমূল সাংসদের তোলা ওই প্রস্তাবে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জোটের অন্দরে আলোচনা চেয়েছেন অভিষেক।
মেলালেন তিনি মেলালেন
আদানিকান্ড যা করতে পারেনি, অধিবেশনে তা করে দেখিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান (তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল) ধনখড়। তবে সাময়িক ভাবে। ১০ ডিসেম্বর ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’। কংগ্রেস, বাম, ডিএমকে-র পাশাপাশি তৃণমূল, আপ, এসপি সাংসদেরাও তা সমর্থন করেন। মোট ৬০ জন সাংসদের সই করা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে অবশ্য রাজ্যসভায় ভোটাভুটি হয়নি। প্রস্তাবে ‘ত্রুটি’র কারণে সেটি খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান তথা জেডিইউ সাংসদ হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। তবে অধিবেশনে ওই বিষয়েই প্রথম ‘বিরোধী ঐক্য’ দেখা গিয়েছিল। যদিও তা ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।
সংবিধানের ৭৫ এবং ‘ভোটের ভবিষ্যৎ’
সংবিধানের ৭৫তম বর্ষ নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর দুপুর থেকে দু’দিনের আলোচনা শুরু হয় সংসদের দুই কক্ষে। সেই সুবাদে লোকসভায় তাঁর প্রথম ভাষণটি দেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। আধ ঘণ্টার বক্তৃতায় নানা উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, গত এক দশকে মোদীর জমানায় ‘পরিকল্পিত’ ভাবে দুর্বল করা হয়েছে ভারতবাসীর ‘ন্যায়ের রক্ষাকবচ’ সংবিধানকে।
বিরোধীদের আপত্তির মধ্যেই মঙ্গলবার লোকসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। এ সংক্রান্ত ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল সংসদের নিম্নকক্ষে পেশ হওয়ার পর কংগ্রেস, তৃণমূল, এসপি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ ভাবে ‘ডিভিশন’-এর দাবি তোলে। এ ক্ষেত্রে সংসদীয় বিধি মেনে কোনও বিল নিয়ে বিতর্কের আগে ভোটাভুটি করতে হয়। কারণ, ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিলে ৮৩, ১৭২ এবং ৩২৭ নম্বর অনুচ্ছেদগুলি সংশোধনের প্রস্তাব রয়েছে।
বিলের সমর্থনে ভোট দেন সরকার পক্ষের ২৬৯ জন সাংসদ। বিপক্ষে ১৯৮ জন। ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশের জন্য প্রথমে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’ এবং তার পরে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাভুটি হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলের খসড়া নিয়ে সংসদের যৌথ কমিটিতে আলোচনা চান। সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। অর্থাৎ, লোকসভায় ৩০৭ এবং রাজ্যসভায় ১৫৮ সাংসদের সমর্থন, যা এই মুহূর্তে মোদী সরকারের কাছে নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অধিবেশন শেষের আগে লোকসভা এবং রাজ্যসভার মোট ৩০ জন সাংসদকে নিয়ে গঠিত হয়েছে যৌথ কমিটি। তাতে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কাও। বিল পাশের বদলে সংসদের যৌথ কমিটি গঠন বিরোধীদের ক্ষেত্রে সাময়িক এবং সামান্য ‘স্বস্তি’ এনে দিয়েছে।
অতঃকিম অম্বেডকর
বিতর্কের সৌজন্যে অমিত শাহ। রাজ্যসভায় সংবিধান-বিতর্কে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখন এক ফ্যাশন হয়েছে— অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর। এত বার যদি ভগবানের নাম নিতেন, তবে সাত জন্ম স্বর্গবাস হত।’’ তার পরেই শাহ বলেন, ‘‘১০০ বার অম্বেডকরের নাম নেওয়া হয়! কিন্তু আমি বলতে চাই, তাঁর প্রতি আপনাদের অনুভূতি কী?’’ জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে অম্বেডকরের অনেক মতপার্থক্য ছিল দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘সেই কারণেই নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন অম্বেডকর।’’
শাহের সেই মন্তব্য নিয়ে দিল্লির রাজনীতিতে তুলকালাম বাধে। কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল দাবি তোলে, শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। কারণ, তিনি সংবিধানের প্রণেতা বাবাসাহেব অম্বেডকরকে ‘অপমান’ করেছেন। সেই অভিযোগে শাহের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দেয় তৃণমূল। তাঁর মন্তব্যকে ‘বিজেপির দলিত বিরোধী মনোভাবের পরিচয়’ বলে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। বিরোধী শিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ’ আক্রমণের মুখে শাহকে আগলাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ গোটা বিজেপি এবং সরকারি প্রচারযন্ত্র মাঠে নামে। বিকেলে শাহ নিজে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, অশ্বিনী বৈষ্ণব, কিরেন রিজিজুদের পাশে নিয়ে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “অম্বেডকরকে অপমান করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।” কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
সাংসদদের সংঘাত নিয়ে থানাপুলিশ!
শাহের বিরুদ্ধে বুধবার মকর দ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা। বৃহস্পতিবার সেখানে তাঁদের বাধা দেন আগে থেকেই জড়ো হওয়া বিজেপি সাংসদেরা। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তবে তৃণমূলের সাংসদেরা তাতে জড়াননি। ধাক্কাধাক্কির সময় বিজেপির দুই সাংসদ মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পান বলে অভিযোগ। আবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গের দাবি, বিজেপির দুই সাংসদ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। তাঁর পায়ে চোট লাগে।
ওই ঘটনা নিয়ে যুযুধান দু’পক্ষই পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিজেপির দাবি, রাহুল এক সাংসদকে ধাক্কা মারেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, ‘‘সাংসদদের মারধরের উদ্দেশ্যেই কি রাহুল ক্যারাটে-কুংফু শেখেন?’’ যে ভাবে ওই ঘটনা নিয়ে জোরকদমে প্রচারে নেমেছে বিজেপি, তাতে ‘অম্বেডকর অবমাননা’র অভিযোগ সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে দলিত আবেগ উস্কে দেওয়ার রণকৌশলে ‘ইন্ডিয়া’ সফল হতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy