বাতিল হয়ে যাওয়া পুরনো গাড়ি। প্রতীকী চিত্র
বাজেট বক্তৃতায় ভেহিকেল স্ক্র্যাপেজ পলিসি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই পলিসিতে বলা হয়েছে, ১৫ বছর বা তার বেশি পুরনো গাড়ি থাকলে দূষণ রোধ ও জ্বালানী তেলের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য তা স্ক্র্যাপ করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে গাড়িটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। গাড়িটির প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দেখা হবে, সেটি রাস্তায় চলাচলের উপযুক্ত কিনা। গাড়ি ফিট সার্টিফিকেট না পেলে সেটিকে বাতিল ঘোষণা করে স্ক্র্যাপ অর্থাৎ তার অংশ ছেঁটে ফেলা হবে। তবে স্ক্র্যাপিং-এর হাত থেকে বাঁচারও কিছু উপায় রয়েছে।
বর্তমান আইন কী বলছে?
ভেহিকেল স্ক্র্যাপেজ পলিসি অনুযায়ী, কোনও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ১৫ বছরের জন্যই বৈধ। তার পরে গাড়িটি যে আরটিও (রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস)- তে নথিভুক্ত, সেখানেই সেটিকে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে গাড়িটির প্রতিটি অংশ অর্থাৎ ব্রেক, লাইট, ইন্ডিকেটর সব খতিয়ে দেখা হবে। যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক কাজ করলে গাড়িটিকে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। অর্থাৎ আরও ৫ বছরের জন্য সেটি ব্যবহার করা যাবে। তার পরে ফের গাড়িটির ফিটনেস টেস্ট হবে।
অন্য দিকে গাড়ির যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক কাজ না করলে তাকে ফেল অর্থাৎ বাতিল ঘোষণা করা হবে। তার পরে গাড়িটিকে স্ক্র্যাপ করা হবে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। তার জন্য দেশজুড়ে টেস্টিং অ্যান্ড স্ক্র্যাপিং সেন্টার তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষা মানুষ নয় বরং যন্ত্রের মাধ্যমে করা হবে। তাই কোনও গাড়ির পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি হতে পারে। যেমন কোনও গাড়ির লাইটের আলো কিছুটা কম হলেই তাকে ফেল ঘোষণা করে দেবে কম্পিউটার। আর কোনও একটা যন্ত্রাংশ বাতিল ঘোষণা হলেই গাড়িটি আর ফিট সার্টিফিকেট পাবে না।
স্ক্র্যাপিং-এর হাত থেকে বাঁচার উপায়:
গাড়িকে বাতিল ঘোষণা করার হাত থেকে বাঁচারও কিছু উপায় রয়েছে। তবে তার জন্য টাকা কিছুটা বেশি খরচ হবে গাড়ির মালিকের। ফিট সার্টিফিকেট পেতে হলে আরটিও-কে রোড ট্যাক্স ও গ্রিন ট্যাক্স বাবদ অনেক বেশি টাকা দিতে হবে। এই গ্রিন ট্যাক্স আবার নির্ভর করছে রাজ্যের উপর। অর্থাৎ যে রাজ্যে দূষণের পরিমাণ বেশি, সেখানে গ্রিন ট্যাক্সের পরিমাণও বেশি। তবে এই নিয়মে ১৫ বছরের পুরনো গাড়িও রক্ষা করতে পারবেন গাড়ির মালিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy