হেমন্ত সরেন। — ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সোমবার আস্থাভোটে জিতল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন জোট। ৮১ জনের বিধানসভায় ৪৫টি ভোট পেয়েছে তারা। বিরোধীরা যদিও আস্থাভোটে অংশ না নিয়েই বেরিয়ে যান বিধানসভাকক্ষ থেকে। স্পিকার রবীন্দ্রনাথ মাহাতো জানিয়েছেন, কেউ বিরুদ্ধে ভোট দেননি। জেএমএমের নেতৃত্বাধীন সরকার বাঁচানোর জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সরেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন।
গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ডের হাই কোর্টের নির্দেশে জামিন পান হেমন্ত। হাই কোর্ট বলে, ‘‘হেমন্ত দোষী নন ভাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে’’। জামিন পাওয়ার পর আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন হেমন্ত। তার পরেই ঝাড়খণ্ডে আস্থাভোটের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সোমবার আস্থাভোটের আগে হেমন্ত জানান, বিরোধীদের কোনও ‘লক্ষ্য’ নেই। সে কারণেই ঝামেলা করছে। চলতি বছরের শেষে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। হেমন্তের দাবি, সেই ভোটে অর্ধেকের বেশি বিরোধী বিধায়ক হেরে যাবেন। তাঁরা আর ফিরে আসবেন না। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পইকেও। তাঁর কথায়, ‘‘আমার অনুপস্থিতিতে চম্পইজি সরকার চালিয়েছেন এবং বাঁচিয়েওছেন।’’ শাসক জোটের বিধায়ক প্রদীপ যাদব জানিয়েছেন, ‘অপারেশন পদ্ম’-এর মাধ্যমে বিজেপি রাজ্যের বর্তমান সরকারকে বার বার ফেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
রাঁচীতে ৮.৮৬ একর জমির মালিকানা সংক্রান্ত টাকা তছরুপের মামলায় হেমন্তকে ৩১ জানুয়ারি গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতার হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত। তাঁর জায়গায় ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পই। জামিনের পর আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন হেমন্ত। এ বার আস্থাভোটেও জয়ী হলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy