শেষ পর্যন্ত দোষ পড়ল মৃত শিশুটির বাবার ঘাড়ে!
রাজস্থানের দৌসার দুর্ঘটনার পরে প্রথমে আশ্চর্য নীরবতা। তা নিয়ে দেশ যখন তোলপাড়, তখন মৃত শিশুটির পরিবারের জন্য সাহায্যের আশ্বাস। তাতেও যখন সমালোচনা চরমে তখন পরিচিত তাসটি খেললেন ‘ড্রিমগার্ল’ হেমা মালিনী। বুধবার টুইটারে পুরো দায় মেয়েটির বাবার ঘাড়েই চাপিয়ে দিলেন। দুর্ঘটনার জন্য শিশুটির বাবাই যে দায়ী, তা ঘুরিয়ে শুনিয়ে রাখলেন। যদিও এ দিন শিশুটির বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি ট্রাফিক আইন মেনেই চলছিলেন। হেনার গাড়ি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে চলছিল।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে হেমা লিখেছেন, “আমি কী করে বোঝাই, পরিবারটি একটু সচেতন হলে দুর্ঘটনা ঘটত না! যদি ওই ভদ্রলোক ট্রাফিক নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতেন, তাহলে মেয়েটিকে মরতে হত না! ওই মেয়েটির সঙ্গে আমিও আমার হৃদয় হারিয়ে ফেলেছি!”
পাশাপাশি, টুইটে সাংবাদিকদের তীব্র নিন্দাও করেছেন হেমা। লিখেছেন, খবরের জন্য ক্ষুধার্ত মিডিয়া যে ভাবে তাঁকে আক্রমণ করেছে, তা মোটেই যুক্তিসঙ্গত নয়! দুর্ঘটনার পরে তিনি মানসিক এবং শারীরিক— দু’ দিক থেকেই বিপর্যস্ত ছিলেন। ফলে, অন্য কোনও দিকে মন দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভবই ছিল না! কিন্তু সাংবাদিকরা মনুষ্যত্বের একেবারে শেষ সীমায় নেমে গিয়ে কুৎসিত ভাবে তাঁকে আক্রমণ করেই গিয়েছে! এর জবাবে সাংবাদিকদের কেবল একটাই কথা বলার আছে তাঁর— “লজ্জা করছে আপনাদের আচরণ দেখে! ভগবান আপনাদের মঙ্গল করুন”!
কিন্তু এই ঘটনার পরে যে তাঁর গাড়ির চালকই গ্রেফতার হয়েছেন বা তাঁকে নিয়ে প্রশাসন যে তৎপরতা দেখিয়েছে, ছোট্ট গুড়িয়ার ভাগ্যে যে তা জোটেনি— তা নিয়ে কিন্তু টুঁ-শব্দটিও করেননি তিনি। তবে শুভ কামনায় আপ্লুত হয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি হেমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy