Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কয়লা মাফিয়ার ডায়েরিতে নামীদের নাম

জেলাশাসক থেকে ডিআইজি, এমএলএ থেকে নেতা—বহু নামই রয়েছে বরাকের কয়লা মাফিয়ার ডায়েরিতে। আর নামের পাশে পাশে রয়েছে টাকার অঙ্ক। কাকে কত দিয়েছে, তার বিবরণ। প্রায় প্রতিটি লেনদেনই লাখের অঙ্কে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

উত্তম সাহা
শিলচর শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:২০
Share: Save:

জেলাশাসক থেকে ডিআইজি, এমএলএ থেকে নেতা—বহু নামই রয়েছে বরাকের কয়লা মাফিয়ার ডায়েরিতে। আর নামের পাশে পাশে রয়েছে টাকার অঙ্ক। কাকে কত দিয়েছে, তার বিবরণ। প্রায় প্রতিটি লেনদেনই লাখের অঙ্কে।

ডায়েরিটি অসমের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি এলাকার আব্দুল আহাদ চৌধুরীর। তার বর্তমান ঠিকানা শিলচর সেন্ট্রাল জেল। গত সোমবার জালিয়াতি-প্রতারণা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অসমের বিভিন্ন জেলা ও প্রতিবেশী রাজ্যে তার নামে অন্তত ৩৬টি মামলা ঝুলে রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কয়লা পাচারকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনা। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মেঘালয়ের কয়লা সুতারকান্দি আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারই ছিল তার প্রধান কাজ। কখনও ওজনে কম দেখানো, কখনও ট্রাকের পর ট্রাক নথিভুক্ত না করে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া। অভিযোগ, বখরা যেত বিভিন্ন স্তরে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এরই উল্লেখ রয়েছে তার ডায়েরিতে।

করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায় জানান, তদন্তের কাজে ডায়েরিটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে। যদিও পুলিশ ও আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, আইনের চোখে ওই ডায়েরি প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বহীন। তাঁরা জৈন হাওলা মামলার উল্লেখ করেন। সেখানেও জৈনের ডায়েরিতে বিভিন্ন নাম ও টাকার অঙ্ক উল্লেখ করা ছিল। ছিল বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর নামও। তিনি সংসদে ইস্তফা দিয়ে জানিয়েছিলেন, কালিমামুক্ত হয়েই সংসদে ফিরবেন। ফিরেও ছিলেন।

এ ক্ষেত্রে করিমগঞ্জের কংগ্রেস নেতারা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। সিবিআইয়ের কথা না বললেও করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যও আহাদের ডায়েরি সংক্রান্ত তদন্ত নিরপেক্ষ ভাবে করানোর দাবি জানিয়েছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Coal Mafia Heavy Weight DIG MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE