ঝড়ের কারণে উত্তাল সমুদ্র। ছবি: পিটিআই।
গুজরাতের উপকূল ছেড়ে ক্রমে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম বরাবর সমুদ্রপথে ওমানের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আসনা। তবে ঝড়ের প্রভাব এখনও পুরোপুরি কাটেনি সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ অঞ্চলে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের উপকূল থেকে সরে যাবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। কিন্তু আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ঝড়ের দাপট সামলে উঠলেও তার জেরে ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হতে পারে, সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করা হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলের জামনগর, পোরবন্দর, দ্বারকা এবং কচ্ছে। শুক্রবারই গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছিল। স্থলভাগে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজকোট, দ্বারকা, বরোদা, কচ্ছ এবং জামনগরে শুক্রবার অতি ভারী বৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬৪-১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শনিবারেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েচে। কচ্ছ-সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বর্ষার মরসুমে এখনও পর্যন্ত গুজরাতে ৮৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ওই রাজ্যে। গুজরাতের পাশাপাশি এ বার উপকূলীয় কর্নাটকেও চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড় আসনার প্রভাবে দক্ষিণ ভারতেরএই রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আসনার জেরে পাকিস্তানেও শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়াও। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি করাচি থেকে ২০০কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy