প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামল মণিপুরের নানি জেলায়। এর ফলে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে অসমের শিলচর পর্যন্ত বিস্তৃত জাতীয় সড়ক। ওই সড়কে দাঁড়িয়ে পড়েছে প্রায় ৫০০টি পণ্যবাহী ট্রাক। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধসের স্তূপ সরিয়ে দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা চলছে। অন্যথায় রাজ্যের গ্রাম এবং শহরাঞ্চলে জরুরি জিনিসের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
গত কয়েক দিন ধরেই একটানা বৃষ্টি চলছে মণিপুরে। বুধবার দুপুরের পর থেকেই ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ইরাং এবং আওয়ানখুলের মধ্যে ধস নামতে শুরু করে। গত বছর জুন মাসে মণিপুরের এই জেলাতেই ধসের কারণে একটি নির্মীয়মাণ রেল প্রকল্পের একাংশ ভেঙেচুরে যায়।
আরও পড়ুন:
এমনিতেই, গত তিন মাস ধরে জাতিগত হিংসায় দীর্ণ মণিপুর। তার উপর টানা বর্ষণ এবং ধসের জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে গেলে যেমন খাদ্যদ্রব্যের সঙ্কট দেখা দিতে পারে, তেমনই হিংসা উপদ্রুত অঞ্চলে সেনা পাঠাতেও সমস্যা তৈরি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।