—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর-কাণ্ড ঘিরে দেশ যখন উত্তাল, তখন আজ দেশের ‘হেল্থ ডায়নামিক্স, ২০২২-২৩’ রিপোর্ট সামনে আনল কেন্দ্র। দেশের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ছবি তুলে ধরা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, জনসংখ্যার অনুপাতে পশ্চিমবঙ্গে শহুরে এলাকায় প্রায় ৩৬% প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কম। বঙ্গের গ্রামীণ কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে ৩৪৭ জন সার্জেনের প্রয়োজন। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ওই কেন্দ্রগুলিতে কর্মরত সার্জেনের সংখ্যা শূন্য।
আর জি কর-কাণ্ডের পরে সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিয়েছে জাতীয় টাস্ক ফোর্স। কিন্তু আজ প্রকাশিত রিপোর্টে স্পষ্ট, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় পিছিয়ে রয়েছে প্রায় গোটা দেশই। বেশি পিছিয়ে রয়েছে গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি। পশ্চিমবঙ্গে যে ১২,৫০৬টি গ্রামীণ উপকেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে ৬৫০টি কেন্দ্রতেই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য আলাদা আবাসন রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন জলের অভাব ৪৭৮টি উপকেন্দ্রে। বিদ্যুৎ নেই ১৫০০টি কেন্দ্রে। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গে যে ৯১০টি গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (পিএইচসি) চালু রয়েছে, তার মধ্যে ২২৮টি চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকে। মাত্র ৯৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অপারেশন করার জন্য আলাদা ওটি কক্ষ রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, শহুরে এলাকায় সক্রিয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংখ্যার দিক থেকে বিশেষ ভাল অবস্থায় নেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশে যথাক্রমে প্রয়োজনের তুলনায় ৫০% এবং ৪৭% প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কম। বঙ্গে শহুরে এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অন্তত ১৬০২ জন কম।
পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় যে কমিউনিটি হেল্থ সেন্টার চলে, তার জন্য ৩৪৭ জন শিশু বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্য পদ সৃষ্টি করেছে ৪৯টি। তার মধ্যে কর্মরত ২৫ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy