—প্রতীকী ছবি।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই এ বার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা।
তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। গুজরাতে সরকারি এক ল্যাবের জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সম্প্রতি অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী এই বিস্ফোরক দাবি করেন। চন্দ্রবাবুর এই দাবি ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের ঘটনার জন্য জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন চন্দ্রবাবু এবং তাঁর ডেপুটি জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ।
তাঁদের অভিযোগ, মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে ‘সনাতন ধর্মের’ অপমান করেছেন জগন্মোহন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিজেপি, তার সহযোগী দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং জন সেনা পার্টি এই বিষয়টি নিয়ে আক্রমণের ঝাঁজ আরও জোরালো করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জয় বান্দি এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, এ ভাবে মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
রাজ্যের বিজেপি সাংসদ ভানু প্রকাশ রেড্ডি তথা তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম-এর বোর্ডের অন্যতম সদস্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন। প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে যখন বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলির একের পর এক আক্রমণ ধেয়ে আসছে, রাজ্যের বন্যা নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছে জগন্মোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেসও। শুধু তাই-ই নয় দলের এক সাংসদ ওয়াইভি সুব্বা রেড্ডি আবার মন্দিরের ‘পবিত্রতা’ নষ্ট করার জন্য চন্দ্রবাবুকেই পাল্টা দায়ী করেছেন।
তিরুপতি শহরের বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয় বিশেষ ‘শ্রীভরি লাড্ডু’। প্রতি দিন বিশ্বের নানা প্রান্তে ভক্তদের কাছে তা পাঠানোর ব্যবস্থাও করে থাকেন তিরুপতি মন্দিরের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’ (টিটিডি) কর্তৃপক্ষ। গত জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও ‘বিশেষ প্রসাদ’ হিসাবে আনা হয়েছিল তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy