বেঙ্গালুরু শহরের মন্দিরগুলিই ছিল তার লক্ষ্য। সন্ন্যাসিনীর বেশে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরত। বুঝে নিত, আগত মহিলা ভক্তদের মধ্যে কে কে পারিবারিক সমস্যার কারণে অবসাদে রয়েছেন। তার পর তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে বিশ্বাস অর্জন করত এবং অন্য কোনও ফাঁকা মন্দিরে সমস্যা সমাধানের জন্য যজ্ঞ করার উদ্দেশ্যে তাঁদের ডেকে পাঠাত। শর্ত থাকত একটাই, তাঁদের আলমারিতে থাকা সবচেয়ে দামি শাড়ি এবং সমস্ত গয়না পরে আসতে হবে। তার পর সুযোগ বুঝে সায়ানাইড মেশানো জল খাইয়ে খুন করে গয়না নিয়ে চম্পট দিত সে।
নিঠারি খুনিরা: নৃশংস সিরিয়াল কিলার। শুধু খুনই করত না তারা, ধর্ষণ করত এবং মৃতদেহ খুবলে মাংসও খেত। সেই ঘটনা সামনে আসার পর গা শিউরে উঠেছিল দেশবাসীর। নয়ডার একটি গ্রাম নিঠারি। এই গ্রামেই থাকত ব্যবসায়ী মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং তার পরিচালক সুরেন্দ্র কোহলি। বাচ্চাদের ফুসলিয়ে বাড়িতে আনা থেকে তাদের খুন করা এবং তার পর দেহ লোপাট-- পুরো ছকটাই কষত দু’জনে মিলে।
রামন রাঘব: নিজে ছিল গৃহহীন । আর আক্রমণের নিশানাও ছিল আশ্রয়হীন ফুটপাতবাসী অথবা বস্তির বাসিন্দারা। ষাটের দশকে মুম্বই শহরতলির আতঙ্কের আর এক নাম ছিল রামন রাঘব। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ অবধি সে অন্তত ৪২ জনকে খুন করেছিল। রামনের জন্ম ১৯২৯ সালে, পুণে শহরে। তার শৈশব নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। কোন পরিস্থিতি তাকে হত্যাকারী করে তুলেছিল, সে অধ্যায় এখনও অন্ধকারেই।
সিন্ধি ডালওয়ানি, আন্না, থাম্বি, তালওয়ানি, ভেলুস্বামী ইত্যাদি নামেও পরিচিত ছিল সে। রামন রাঘবের অপরাধ শুরু হয়েছিল তার পরিবারেই। ধর্ষণের পরে একাধিক বার ছুরির আঘাতে নিজের বোনকে খুন করেছিল সে। গ্রেফতারের পর প্রথমে তার মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। পরে মানসিক রোগের শিকার হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। কিডনি নিষ্ক্রিয় হয়ে ১৯৯৫ সালে তার মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy