দিল্লির নবনির্বাচিত বিধায়কেরা আগামী সোমবার শপথ নিতে চলেছেন। ওই দিন থেকেই শুরু হচ্ছে দিল্লি বিধানসভার তিন দিনের অধিবেশন। বিধায়কেরা শপথ নেওয়ার পর দুপুর ২টো নাগাদ স্পিকার নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে আম আদমি পার্টি (আপ) যদি স্পিকার নির্বাচনে না-লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে আর ভোটের প্রয়োজন হবে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির কেউ ওই পদে বসবেন।
আপের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবারই তাদের ২২ জন বিধায়ক শপথ নেবেন। একই দিনে দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলনেতার নাম জানাবে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। প্রথা মোতাবেক, অধিবেশনের শুরুতে প্রারম্ভিক ভাষণ দেবেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। অধিবেশন চলবে সোমবার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার উপরাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনায় অংশ নেবেন বিধায়কেরা।
দিল্লি বিধানসভার অধিবেশনে ক্যাগের ১৪টি রিপোর্ট পেশ করতে পারে বিজেপি সরকার। আপ আমলে কোন খাতে কত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, রাজস্ব কত এসেছিল, এই সব কিছুর খতিয়ান থাকতে পারে ওই রিপোর্টগুলিতে। এই রিপোর্ট পেশ নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে দিল্লি বিধানসভার অধিবেশন। আপ যখন দিল্লির ক্ষমতায়, তখন বিরোধী বিজেপি বার বার এই রিপোর্টগুলি প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বিজেপি বিধায়ক রেখা গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথ নেন আরও ছ’জন। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই বিজেপি বিধানসভার অধিবেশনে ক্যাগ রিপোর্ট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিজেপির দাবি, ওই রিপোর্টগুলি প্রকাশ্যে এলে অস্বস্তিতে পড়তে হবে আপকে।